কলকাতা : কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মেনে আর চলবে না রাজ্য, তাই নিজস্ব শিক্ষা নীতি তৈরির উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। নতুন নীতি তৈরি করতে ১০ সদস্যের একটি কমিটিও গঠান করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাতেও এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি সহ ১০ জনকে নিয়ে সেই কমিঠি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। সম্প্রতি শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু বদল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৈরি হয়েছে ২০২০-র নয়া শিক্ষানীতি। কিন্তু সেই নীতির বিরোধিতা করেছে অনেক রাজ্যেই। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র ও কেরল নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করেছে। আর এবার সেই পথেই হাঁটল এ রাজ্যের সরকার।
সম্প্রতি নয়া শিক্ষানীতি এনেছে কেন্দ্র। আর সেই নীতি মেনে বিশ্ববিদ্যাল মঞ্জুরী কমিশন একের পর এক গাইডলাইন পাঠিয়ে চলেছে। সে সব গাইডলাইন মানা হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। আর এবার নিজেদের শিক্ষানীতি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকেও ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই কমিটির কোনও বৈঠক হয়নি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের গাইডলাইন খতিয়ে দেখে নিজেদের পৃথক নীতি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কমিটির অন্যতম সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, জাতীয় শিক্ষার যে নীতি, তা অনেকাংশে আমেরিকার স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নীতিকে অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, ভারত ১৩০ কোটির দেশ। এ দেশে এমন অনুকরণ সম্ভবত কাজ করবে না। ফলে জাতীয় শিক্ষানীতির যে যে অংশে অনুকরণ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেগুলির বিরোধিতা করবে রাজ্যের নয়া নীতি। আর এক শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি তাঁর কাছেও খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়, আগেও সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, রাজ্য নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করতেই পারে, কমিটিও গঠন করতে পারে, কারণ শিক্ষা বিষয়টা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন : Kolkata Bike Accident: বাইক থেকে ছিটকে রেলিং টপকে নীচে পড়ে মৃত্যু আরোহীর, ফের মা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা
আরও পড়ুন : Zoo at Digha: দিঘায় গেলে এবার দেখা মিলতে পারে কুমির কিংবা হরিণের, আকর্ষণ বাড়ছে আরও