Zoo at Digha: দিঘায় গেলে এবার দেখা মিলতে পারে কুমির কিংবা হরিণের, আকর্ষণ বাড়ছে আরও
Zoo at Digha: বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন স্থল হিসেবেই পরিচিত এই দিঘা। তবে শুধুমাত্র সমুদ্র নয়, এবার আকর্ষণ বাড়বে আরও।
দিঘা: বরাবরই বাঙালির পছন্দের পর্যটনস্থল দিঘা। সপ্তাহান্তে অথবা ২-১ দিনের ছুটি মানেই কলকাতার কাছে-পিঠে, দিঘাই হয়ে ওঠে বাঙালির গন্তব্যস্থল। সেই পর্যটন কেন্দ্রকে আরও আকর্ষনীয় করতে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এবার চিড়িয়াখানার স্বাদ মিলতে চলেছে দিঘায়। এর আগে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে নতুন করে গড়ে পুরীর ধাঁচেই ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার চিড়িয়াখানা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হল দিঘায়। তবে এখনই আলিপুরের মতো বড় চিড়িয়াখানা তৈরি হচ্ছে না। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির আদলে মিনি -জু তৈরি করা হবে।
রাজ্যের সিদ্ধান্তে জগন্নাথ ধামের পর এবার চিড়িয়াখানা পেতে চলেছে সৈকত নগরী। পর্যটকদের কাছে নয়া গন্তব্য হতে পারে সেই চিড়িয়াখানা। নিউ দিঘায় কনভেনশন সেন্টার লাগোয়া দত্তপুর মৌজায় গড়ে উঠতে চলেছে এই চিড়িয়াখানা। তবে আপাতত পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা নয়, মিনি -জু গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্টেট জু অথরিটি। এর জন্য ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল জু অথরিটির কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে তারা। এ নিয়ে রাজ্যে চতুর্থ চিড়িয়াখানা গড়ে উঠতে চলেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় চিড়িয়াখানা গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। দত্তপুর মৌজায় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ২৪ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। চিড়িয়াখানা নির্মাণের জন্য মাস্টার লে-আউট প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে। যার ছাড়পত্রের জন্য মাস তিনেক আগে আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বনাধিকারিক অনুপম খান বলেন, ‘রাজ্য বা জেলার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের মানুষের কাছেও দিঘা এখন অন্যতম ভ্রমণ কেন্দ্র। সেই কারণেই দিঘায় চিড়িয়াখানা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে দিঘার আকর্ষণ আরও বাড়বে।’ কেন্দ্রের থেকে ছাড়পত্র মিললেই শুরু হয়ে যাবে চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ। বন্য পশুপাখিদের জন্য তৈরি করা হবে খাঁচা। মূলত দেশীয় পশু-পাখিদের এখানে রাখা হবে। হাতি, সিংহ, বাঘ আপাতত রাখা হচ্ছে না। তবে থাকবে কুমির, হরিণ, কচ্ছপ, ঘড়িয়াল। থাকবে বিভিন্ন ধরনের পাখিও। এতে স্টেট জু অথরিটির আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশেষ মাত্রা পাবে সৈকতের পর্যটনও।