Nandigram Case: ঘরে দুই মহিলা, ঢালা হল কেরোসিন… নন্দীগ্রামের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

Nandigram: স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম থানার উওর কেন্দামারি গ্রামের ভীমচরণ দাসের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল গ্রাম কমিটির।

Nandigram Case: ঘরে দুই মহিলা, ঢালা হল কেরোসিন... নন্দীগ্রামের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2022 | 7:31 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রামপুরহাটের বগটুইয়ের (Rampurhat Bagtui) আঁচ এখনও রয়েছে। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। দুই মহিলাকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বাড়ি ভাঙচুরের পর কেরোসিন ঢালা হয় বাড়িটিতে। অভিযোগ, পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা থেকেই এই ঘটনা। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের (Nandigram) কেন্দামারির এই বীভৎস ঘটনায় বগটুইয়ের কথা মনে করছেন কেউ কেউ।  অভিযোগ, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই এই খুনের চেষ্টা করা হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি-তৃণমূল একে অপরকে নিশানা করেছে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম থানার উওর কেন্দামারি গ্রামের ভীমচরণ দাসের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল গ্রাম কমিটির। দীর্ঘদিন ধরে এই বিবাদ চলছিল। এদিকে সম্প্রতি ভীমচরণ দাস অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর ছেলে ভিন রাজ্যে তাঁকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে যান। বাড়িতে ছিলেন দুই মহিলা। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই গত রবিবার ভীমচরণ দাসের বাড়িতে চড়াও হন এলাকার কয়েকজন মাতব্বর। বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মহিলাদের গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ওই দুই মহিলা নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এসে দুই মাতব্বরকে গ্রেফতারও করে।

এদিকে গত মঙ্গলবার হলদিয়া আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে ওই দু’জন জামিনে মুক্তি পান। অভিযোগ, এরপরই তাঁরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন। সেদিন রাতেই ফের ভীমচরণ দাসের বাড়িতে চড়াও হন। সে সময় ঘরে দুই মহিলা ছিলেন। অভিযুক্তরা বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করেন। অভিযোগ, বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ওই বাড়িতে কেরোসিন তেল ঢেলে দেন। প্রাণে মারার জন্যই এই ঘটনা বলে অভিযোগ দাস পরিবারের।

কোনওমতে নন্দীগ্রাম থানায় ফোনে সমস্ত বিষয়টি তাঁরা জানান। খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে এলাকায় হাজির হয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। আগুন লাগানোর আগেই পুলিশ এসে দুই মহিলাকে রক্ষা করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় মাতব্বররা। এরপর এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এলাকার পাঁচ মাতব্বরকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার অভিযুক্তদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি নজর রেখেছি। পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। আমি আইন মানা লোক। পুলিশ ফেল করলে আমি টেকআপ করব। কী ঘটনা ঘটেছে সবই জানি। তৃণমূলের গুন্ডারা, যাদের সিবিআই খুঁজছে বা ভিতরে রয়েছে সব এই প্রজাতির প্রাণী।”

যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, “এখানে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ গ্রাম্য বিষয়। মন্দির কমিটির জায়গা নিয়ে সমস্যা ছিল। শুভেন্দু অধিকারী অহেতুক এ নিয়ে রাজনীতি করছেন। উনি সবসময় রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। আইন আইনের পথেই চলবে।” নন্দীগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh : ‘তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বুঝিয়ে বলতে পারবেন’, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রশ্নে কার কোর্টে বল ঠেললেন কুণাল?