Madhya Pradesh Journalist stripped: ‘নগ্ন করে গোটা শহর ঘোরাব’, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিশ, বাদ গেলেন না সাংবাদিকও
Madhyapradesh Journalist stripped: এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের এ ভাবে থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মধ্য প্রদেশ : গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে এক অস্বস্তিকর ছবি। কয়েকজন পুরুষ থানার ভিতর দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের পরণে নেই পোশাক। এদের কোন অপরাধে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে? কেন অর্ধনগ্ন করে রাখা হয়েছে? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই সামনে আসে আসল ঘটনা। মধ্য প্রদেশের একটি থানাতেই এই ছবি তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যাঁদের এ ভাবে পোশাক খুলিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাঁরা একজনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। যে আটজন পুরুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, সেই তালিকায় রয়েছেন একজন সাংবাদিকও। গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এটি গত ২ এপ্রিলের ছবি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বৃহস্পতিবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্য প্রদেশ পুলিশ। মধ্য প্রদেশের সিধি জেলার কোতোয়ালি থানায় এই ঘটনা ঘটে। এক পুলিশকর্মীই ওই আট জনের ছবি তোলেন বলে জানা গিয়েছে। সিধি জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করবেন এসডিপিও গায়ত্রী তিওয়ারি। যে সব পুলিশ কর্মী বা আধিকারিকের যোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি উল্লেখ করেছেন, অপরাধ যাই হোক না কেন, এই ধরনের পদক্ষেপ কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিধায়কের অভিযোগেই ঘটনার সূত্রপাত
বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা নীরজ কুন্দর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তোলেন। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁকে ও তাঁর ছেলের সম্পর্কে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান বিধায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নীরজ কুন্দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই প্রতিবাদ জানাতে থানার কাছে হাজির হন নীরজের পরিবারের সদস্য সহ অনেকেই। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর সেখানেই পোশাক খুলে ফেলতে বলা হয়।
সাংবাদিককেও অর্ধনগ্ন করায় পুলিশ
যাঁদের এ ভাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক সাংবাদিকও। ইউটিউব সাংবাদিক কনিষ্ক তিওয়ারি ছিলেন ওই আটজনের মধ্যে। তাঁর অভিযোগ, তাঁর চিত্র সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যায়ভাবে। তাঁর দাবি, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে খবর করার জন্য তাঁকে হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। কনিষ্ক তিওয়ারি জানিয়েছেন, পুলিশ ১৮ ঘণ্টা এ ভাবে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল তাঁদের। ২ এপ্রিল রাত ৮ টায় তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, পরের দিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, থানায় উপস্থিত এক পুলিশ কর্মীই তাঁদের ছবি তোলেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, খবর চালানো হলে নগ্ন করে গোটা শহর ঘোরানো হবে। এই ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে সে রাজ্যের শাসক শিবিরেও। মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।