AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Assembly: আলু-তরজা বিধানসভায়, সোচ্চার বিজেপি; ‘সিন ক্রিয়েটের চেষ্টা’ বললেন শোভনদেব

Assembly: এদিন মেনশন কেসে শুভেন্দু অধিকারী আলু প্রসঙ্গে বলেন, আলু চাষের জন্য যা খরচ হচ্ছে, বিক্রির ক্ষেত্রে সেই টাকা উঠছে না।

Assembly: আলু-তরজা বিধানসভায়, সোচ্চার বিজেপি; 'সিন ক্রিয়েটের চেষ্টা' বললেন শোভনদেব
আলু নিয়ে মনোজ টিগ্গা। ডানদিকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 8:57 PM
Share

কলকাতা: আলু নিয়ে সরগরম সোমবারের বিধানসভা (West Bengal Assembly)। বিধানসভায় এদিন মেনশন পর্বে শুভেন্দু অধিকারী আলু চাষিদের অবস্থার কথা তুলে ধরেন। সেই পর্ব মিটতেই বিধানসভায় গেটের সামনে এসে তাঁরা হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্লাস্টিকের রঙিন ঝাঁকায় আলু নিয়ে বিধানসভায় ঘুরে বেড়ান বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হইহই চলে সেখানে। যদিও এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। প্রথম দিকে খবর আসে আলু চাষীরা হয়তো মাঠে দাম কম পেতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন কোনওভাবেই অভাবী বিক্রি করতে দেবেন না। ৫.৫০ টাকা আগের বার ছিল মিনিমাল প্রকিয়রমেন্ট প্রাইস। সেটা ৬.৫০ টাকা করে দেন।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “জ্যোতি এখন ৮ টাকা আর চন্দ্রমুখী ১০ টাকার উপর বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঠে। ফলে অভাবী বিক্রি হচ্ছে না।”

এদিন মেনশন কেসে শুভেন্দু অধিকারী আলু প্রসঙ্গে বলেন, আলু চাষের জন্য যা খরচ হচ্ছে, বিক্রির ক্ষেত্রে সেই টাকা উঠছে না। অনেক কম মূল্যে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। সরকারকে কৃষকদের স্বার্থে কাজ করতে হবে। সরকারি স্তরে আলু ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে। আলু চাষীরা যাতে আত্মহত্যা না করেন, সেটা সরকারকে দেখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে পাল্টা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ার কারণ কেন্দ্রীয় সরকার। সারের দাম বাড়ছে। সরকার ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু কিনবে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কোনও আলু চাষীর মৃত্যু হয়েছে, এমন খবর আমার কাছে নেই। বিরোধী দলের কেউ কেউ আলু কিনে রাস্তায় ফেলে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করছে।” এদিন পঞ্চায়েত ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও বলেন, “গতবছর আলুতে ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে দাম পেয়েছেন কৃষকরা। আমাদের এখানে কোনও চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হননি।”