WBPDCL: ডাক্তার-নার্স মিলিয়ে শূন্যপদ ৩০, ইন্টারভিউ দিতে হাজির ৩ হাজার! সরকারি দফতরে তুমুল হইচই

Walk-In: অভিযোগ, দুপুর দু'টোর সময় ডব্লুবিপিডিসিএলের দফতরের গেট বন্ধ করে দিয়ে বলা হয় এদিন আর কোনও ওয়াক-ইন হবে না।

WBPDCL: ডাক্তার-নার্স মিলিয়ে শূন্যপদ ৩০, ইন্টারভিউ দিতে হাজির ৩ হাজার! সরকারি দফতরে তুমুল হইচই
ডব্লুবিপিডিসিএলের দফতরের সামনে বিশৃঙ্খলা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2021 | 6:52 PM

কলকাতা: ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বা ডব্লুবিপিডিসিএল (WBPDCL)। এর আওতাধীন রাজ্যের একাধিক পাওয়ার স্টেশনে মেডিকেল অফিসার ও নার্স নিয়োগের ওয়াক ইন ইন্টারভিউ ছিল শুক্রবার। সেই ইন্টারভিউকে কেন্দ্র করে তুমুল বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হল বিধাননগরে ডব্লুবিপিডিসিএলের দফতরে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়, দফতরে সাজানো ফুলের টবগুলো পর্যন্ত ভেঙে যায়। পরে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেডিকেল অফিসার, নার্স নিয়োগের পরীক্ষা ঘিরেও যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা দেখে হতবাক এলাকার লোকজন।

ডব্লুবিপিডিসিএলের যে পাওয়ার স্টেশন ও প্রজেক্ট রয়েছে তার জন্য মেডিকেল অফিসার ও নার্সের নিয়োগ চলছে। এই নিয়োগের জন্য ওয়াক ইন ইন্টারভিউ ছিল শুক্রবার। সেই ইন্টারভিউ হবে বলে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপণও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। মোট ১১ জন ডাক্তার ও ১৯ জন নার্স নিয়োগ হবে বলে বিজ্ঞাপণে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ৩০টি শূন্যপদে ইন্টারভিউ দিতে হাজির হন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার চাকরি প্রার্থী। অভিযোগ, দুপুর দু’টোর সময় ডব্লুবিপিডিসিএলের দফতরের গেট বন্ধ করে দিয়ে বলা হয় এদিন আর কোনও ওয়াক-ইন হবে না। এদিকে ততক্ষণে মাত্র ১৫০ জন প্রার্থী ভিতরে ঢুকেছেন। এতজন গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন।

এরপরই গেট ঠেলে ভিতরে ঢুকতে গেলে বাধে তুলকালাম। সূত্রের খবর, সেই সময় বেশ কিছু ফুল গাছের টব ভেঙে যায়। দফতরের কর্মীরা কোনওভাবেই বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে খবর দেন বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে একটু ঠেলাঠেলি হয়। এর বেশি কিছু না।

এক চাকরি প্রার্থীর অভিভাবক সন্দীপ ঘটক বলেন, “ডব্লুবিপিডিসিএলের আওতায় মেডিকেল অফিসার এবং স্টাফ নার্সদের ইন্টারভিউ ছিল এদিন। নার্স নেওয়া হবে ১৯ জন। মেডিকেল অফিসার ১১ জন। এদিকে এখানে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার লোক এসে পড়েন। ওদের বক্তব্য, ‘আমরা আশা করিনি এত চাকরি প্রার্থী আসবেন’। ২টো নাগাদ গেটটা বন্ধ করে দেয়। তখন মাত্র দেড়শো জনকে ঢুকিয়েছে। এদিকে রাস্তায় লম্বা লাইন। আড়াই তিন হাজার জনের বাকি সকলেই লাইনে দাঁড়িয়ে। সব গেট খুলে ভিতরে ঢুকে যায়। হইচই শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কি হল। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে সামাল দেয়। শেষে কর্তৃপক্ষ ভুলও স্বীকার করে সকল প্রার্থীকে একটি করে টোকেন দেন। ওই টোকেন ধরে এবার আলাদা আলাদা দিন ডাকা হবে। সেই টোকেন কতটা কার্যকরী হবে তা আমরা জানি না।”

আরও পড়ুন: ‘যাঁরা পিছনের দিকে র‌্যাঙ্ক করেন সেই আইএএসরা এ রাজ্যে আসতে রাজি হন’, ফের মমতার সমালোচনায় বিজেপির সুকান্ত