TET 2014: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ পর্ষদের
TET: মামলাকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরা লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় কত পেয়েছেন, সেই নম্বরের ভাগ জানাতে হবে।
কলকাতা: ২০১৪ সালের টেট (TET 2014) উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। আদালতের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রায় ৮ বছর পর প্রকাশ পেল এই নম্বরের বিন্যাস। টেট প্রার্থীরা ট্রেনিং, ভাইভার জন্য কত নম্বর পেয়েছেন তা জানাল পর্ষদ। ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির টেটে প্যানেলভুক্তদের ২০১৬ ও ২০২০ সালে নিয়োগ হয়েছিল। যদিও এই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীকালে যা নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়। সেই মামলার সূত্র ধরেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসে। এরকমই একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। মামলাকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরা লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় কত পেয়েছেন, সেই নম্বরের ভাগ জানাতে হবে। প্রকাশ করতে হবে তালিকা। সেইমতোই তালিকা প্রকাশ করা হল।
২০১৪ সালের টেটে ৪২ হাজার ৯৪৯ জনের শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। তাঁদেরই প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা এদিন প্রকাশিত হয়েছে। ব্রেক আপ স্কোরে রয়েছে টেটের স্কোর, মাধ্যমিকের স্কোর, উচ্চমাধ্যমিকের স্কোর, ট্রেনিং স্কোর, ভাইভার নম্বর, অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের নম্বর। মোট ১২৮১ পাতার একটি পিডিএফ ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগেই এই নিয়োগসংক্রান্ত তথ্য তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের এই তথ্য তালাশের পরই জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিল বা ডিপিএসসিকে (DPSC) ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত এক্সেল ফরম্যাটে প্রত্যেকের নিয়োগ তথ্য ইমেল করতে বলা হয়েছিল পর্ষদে। টেটের রোল নম্বর, টেট পাসের সার্টিফিকেট-সহ এই পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। আদালতই নির্দেশ দেয় এই নম্বরের ব্রেক আপ তালিকা প্রকাশ করতে। এর আগেও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের নম্বর প্রকাশ করেছে পর্ষদ। যেই তালিকা ‘অসম্পূর্ণ’ বলে অভিযোগ উঠেছিল।