Waqf Unrest: কেন গুলি চালিয়েছে পুলিশ? ব্যাখ্যা দিলেন জাভেদ শামিম
Waqf Unrest: জাভেদ শামিম বলছেন, সুতিতে সুজার মোড়, সামশেরগঞ্জে ডাক বাংলো মোড়ের অশান্তি ভয়ানক চেহারা নেয়। উন্মত্ত জনতাকে বাগে আনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। আর তখনই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।

কলকাতা: ‘বাধ্য হয়েই চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল পুলিশ।’ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলতে শোনা গেল এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিমকে। কোন পরিস্থিতিতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল এদিন তাঁর ব্যখ্যাও দিতে দেখা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের নানা প্রান্তে একেবারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। জ্বলছে আগুন, হাত পড়েছে সরকারি সম্পত্তিতে। সবথেকে খারাপ অবস্থা মুর্শিদাবাদের। ধুলিয়ান থেকে সুতি, সামশেরগঞ্জ, সর্বত্রই অশান্তির ছবি।
জাভেদ শামিম যদিও বলছেন, সুতিতে সুজার মোড়, সামশেরগঞ্জে ডাক বাংলো মোড়ের অশান্তি ভয়ানক চেহারা নেয়। উন্মত্ত জনতাকে বাগে আনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। আর তখনই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, “সুতিতে সুজার মোড়, সামশেরগঞ্জে ডাক বাংলো মোড়ে অশান্তি হয়েছে। রাস্তা অবরোধ হয়, পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। তারপরই পুলিশের উপর আক্রমণ করে। পুলিশ অনেকক্ষণ থেকে সংযত ছিল। মিনিমাম থেকে ম্যাক্সিমাম ফোর্স প্রয়োগ করা হয়। লাঠি, গ্যাস সবরকম চালানো হয়। কিন্তু, জনতা আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “পাবলিক বাস থেকে, সরকারি সম্পত্তি সবকিছুতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা এরকম চলার পরে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সুজার মোড়ে পুলিশ বাধ্য হয়ে চার রাউন্ড ফায়ারিং করে। তার মধ্যে ২ জনের আহত হওয়ার আমাদের কাছে খবর আছে। তাঁরা হাসপাতালে আছেন। ভাল আছেন এখন।”
অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বারাবার গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। একই সুর জাভেদ শামিমের গলাতেও। বলছেন, “ভয়ঙ্করভাবে গুজব ছড়াতে থাকে। ভুল বোঝানো হচ্ছে। দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধীরাই এটা করছেন।” অন্যদিকে শান্তির বার্তা দিয়ে মমতা স্পষ্ট বলছেন, “কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
