মেকআপ করার পজিটিভ দিক কী কী?
অনেককেই বলতে শুনেছেন, মেকআপ করা ভাল নয়। সত্যিই কি তাই?
হালকা লিপস্টিক (Beauty)। চোখে কাজলের ছোঁয়া। প্রয়োজন মতো ফাউন্ডেশন। আর অল্প হাইলাইটার। প্রতিদিন হয়তো এটুকুতেই মেকআপ সেরে ফেলেন আপনি। প্রয়োজন হলে প্রফেশনালের সাহায্য নেন। প্রতিদিন হয়তো হালকা মেকআপ করলে আপনার মন ভাল থাকে। কিন্তু অনেককেই বলতে শুনেছেন, মেকআপ করা ভাল নয়। সত্যিই কি তাই? মেকআপ করার তো পজিটিভ দিকও আছে। আজ সেটাই খোঁজার চেষ্টা করব আমরা।
১) অনেকেই ভাবেন, মেকআপ করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তা কিন্তু আদৌ নয়, বরং মেকআপ ত্বককে বাইরের ধুলো, ময়লা থেকে রক্ষা করে। তবে সঠিক উপায়ে মেকআপ না তুললে ত্বকের ক্ষতি হয়। মেকআপ ত্বকের উপর একটা আস্তরণের মতো কাজ করে। এতে সরাসরি ময়লা ত্বকে লাগে না।
২) ত্বকের কোনও ক্ষত বা খুত থাকলে তা মেকআপের সাহায্যে ঢেকে ফেলা সম্ভব। আবার ত্বক উজ্জ্বল করতেও মেকআপ সাহায্য করে। চোখ, নাক, ঠোঁটের শেপে সমস্যা থাকলেও তা মেকআপের সাহায্যে ঠিক করে দেওয়া সম্ভব।
৩) মেকআপ একটা আলাদা কনফিডেন্স তৈরি করে। সব সময় চড়া মেকআপের প্রয়োজন তা নয়। টাপ আচ করে নিলেই অনেকটা কনফিডেন্ট মনে করেন অনেকে। আবার ছবি তোলার প্রয়োজন হলেও মেকআপ আপনার উপস্থিতিকে অন্য মাত্র দেবে।
৪) বয়স নিয়ে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। মেকআপের সাহায্যে বয়স ধরে রাখতে চান। অবশ্যই সেটা সম্ভব। কিন্তু মেকআপ যেন আপনার ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে না যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
৫) ত্বকের পরিচর্যার জন্য ক্লিনজিং মাস্ট। প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। অনেকেই সেই রুটিন ফলো করেন না। কিন্তু আপনার মুখে যদি হালকা মেকআপও থাকে, তখন তা তুলতে বাধ্য হবেন। ফলে আলিস্যির কারণে যে রুটিন মেনে চলেন না অনেকে, মেকআপ থাকলে তা মানতে বাধ্য হবেন। পাশাপাশি কখনও তো নিজেকেও প্যাম্পার করা দরকার। মন ভাল রাখতে মেকআপ করেই নিজেকে প্যাম্পার করতে পারেন।
আরও পড়ুন, নেলপলিশ ভালবাসেন? কোন কোন রঙ ট্রেন্ডে রয়েছে জানেন?