Hair care tips: শতচেষ্টা করেও নতুন করে চুল গজাচ্ছে না! রইল ৫টি জরুরি কারণ
Hair Growth: চুলের নানান সমস্যার মধ্যে নতুন করে চুল না গজানোর সমস্যাও অন্তর্গত। প্রতিটি ব্যক্তির চুল একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যে পৌঁছানোর পর বাড়তে থাকা বন্ধ হয়ে যায়...

লম্বা, ঝলমলে চুলের স্বপ্ন প্রায় সকলেরই। সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে, যার কারণে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, অপর্যাপ্ত চুলের যত্নের রুটিনের কারণে চুলে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। এছাড়া বর্তমানে স্ট্রেসের কারণেও চুলের যত্নের উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। চুলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল চুলের বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত যত্ন নেওয়া। চুলের নানান সমস্যার মধ্যে নতুন করে চুল না গজানোর সমস্যাও অন্তর্গত। প্রতিটি ব্যক্তির চুল একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যে পৌঁছানোর পর বাড়তে থাকা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে আরও একবার বাড়তে শুরু করার আগে ক্যাটাজে, টেলোজেন ও এক্সোজেন পর্যায়ে চক্রাকারে চলতে থাকে। তবে চুল না বাড়ার কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলি কী কী দেখে নিন একঝলকে…
তাপের অত্যাধিক ব্যবহার
চলে যদি অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বন্ধ করা দরকার। প্রতিদিন হিট স্টাইলিং সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করা যদি আপনার কাছে বিকল্পের হয়ে থাকে, তাহলে তা এখনই সেগুলি থেকে বিরত থাকার সময় এসছে। তাপের অত্যাধিক ব্যবহার চুলের কেরাটিন স্ট্র্যান্ডের আকৃতি পরিবর্তন করে যা সবশেষে চুলকে আরও দুর্বল করে তোলে। চুলের স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে ক্ষতির মুখো মুখি করে তোলে। শুধু কিউটিকলেরই ক্ষতি করে তাই নয়, এটি চুলকে রুক্ষ ও ঝরঝরে করে তোলে ও ভঙ্গুরও করে তোলে।
চুলের যত্নের কোনও নিয়ম না মানা
চুলের যত্নের নিয়মের অনুপস্থিতির কারণে চুল না গজানো একটি অন্যতম সমস্যা। চুলের য়ত্ন না নেওয়া হলে এটি একটি বিন্দুতে আসার পর বৃদ্ধি হতে বন্ধ করা দেয়। ধীর ধীরে খুসকি, চুল পড়া, শুষ্কতা, নিস্তেজ অনুভব করতে শুরু করতে পারেন। আপনার ত্বকের মতই চুলকে প্যাম্পার করা শুরু করার সময় এসে গিয়েছে। ক্ষতি যাতে আর না হয় তার জন্য এখনই নিয়ম মেনে চুলের যত্ন নিতে শুরু করুন।
চুলের আগায় ফাটল ধরা
চুলের আগা বিভক্ত হয়ে যাওয়া একটি অন্যতম কারণ। স্প্লিট এন্ড দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তবে চুলের আরও ভঙ্গুর করে না তোলার জন্য সেগুলি ছেটে ফেলাই হল একমাত্র উপায়। বিভক্ত প্রান্ত ও ভাঙ্গন এড়াতে আপনাকে অবশ্যই আপনার চুলের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
পুষ্টির ঘাটতি
ভিটামিন ও খনিজগুলির ঘাটতি সীমিত চুলের বৃদ্ধি ও চুল পাতলা হওয়ার মত গুরুতর চুলের সমস্যা হতে পারে। আয়রন, প্রোটিন, বায়োচিন ও জি্ঙ্কের মত পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যদি আপনার এই প্রয়োজনীয় পুষ্টর অভাব হয় তবে আপনার চুলের সমস্যার পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
স্বাস্থ্যের অবস্থান
থাইরয়েড সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জগুলিও আপনার চুল না বাড়ার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হলে চুলের স্বাস্থ্যেও সমানভাবে উন্নতি করতে পারে।
