ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ট্রেন্ড ধীরে ধীরে কমেছে। এখন না চাইতেও রোদের মধ্যে অফিস যেতে হচ্ছে। এতে ত্বকের একটু বাড়তি খেয়াল রাখতে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু একই যত্ন কি চুলেরও নিচ্ছেন? চুলের যত্ন নেওয়ার অর্থ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের ব্যবহার শুধু নয়। শ্যাম্পু করার পর চুলে কি সিরাম লাগান? চুলের সৌন্দর্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই হেয়ার সিরামের জুড়ি মেলা ভার। চুল ধোয়ার পর, একটু শুকনো হলে যদি সিরাম লাগান, তাহলে চুলে জট পড়ে না। পাশাপাশি চুল থাকে রেশমের মতো সিল্কি।
হেয়ার সিরাম চুলের উপর একটি একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা চুলের কিউটিকলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তার উপর হেয়ার সিরাম ব্যবহার করলে উড়ো চুলের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। চুল অনেক বেশি মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে নেই। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ২-৩ ফোঁটা হেয়ার সিরাম নিলেই কাজ চলে যাবে। তার পাশাপাশি স্ক্যাল্পে ভুলেও সিরাম লাগাবেন না। শুধু চুলে লাগালেই কাজ হবে। বাজারে যে হেয়ার সিরাম মেলে, সেগুলোর দাম অনেক। আপনি চাইলে সহজ উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার সিরাম।
ফ্রিজিনেস দূর করবে অ্যালোভেরার হেয়ার সিরাম-
অ্যালোভেরার পাতা থেকে নির্যাস বের করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই অ্যালোভেরা জেল নিন ৪-৫ টেবিল চামচ। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং ১ চা চামচ ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিন। উপাদানগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। স্নান সেরে এই সিরামের দু’ফোঁটা চুলে লাগিয়ে নিন। এতে আপনার চুলের ফ্রিজিনেস দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি চুলে জট পড়বে না।
তৈলাক্ত স্ক্যাল্পে যে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন-
অনেকের ধারণা স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে এরপর আর সিরাম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের ব্যক্তিরাও চুলে সিরাম লাগাতে পারেন। আর তার জন্য বানিয়ে নিন বিশেষ হেয়ার সিরাম। ৬ টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল নিন। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অ্যার্গান অয়েল, ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল, ৫-৬ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল এবং ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। উপকরণগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। এই সিরাম ব্যবহারের পরও আপনার চুল আর তৈলাক্ত দেখাবে না।