ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। বরং ঘরে ঘরে নিঃশব্দ ঘাতকের মত ঢুকে পড়ছে এই রোগ। আর আশ্চর্যজনক ভাবে মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আক্রান্তের হার। ইদানিং অনেক মেয়েই কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবিটিসে। ডায়াবিটিস, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ এসব সমস্যায় বেশ কম বয়স থেকেই কিন্তু মেয়েরা এখন ভুক্তভোগী। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকখানি। আর কারণ কিন্তু সচেতনতার অভাব। বেশিরভাগ মেয়েই নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন। সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া কিংবা প্রয়োজনীয় রক্তপরীক্ষা অনেকেই করাননি। আর এখান থেকেই কিন্তু বেড়েছে জটিলতা। আজকাল বেশিরভাগ মেয়ে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। পিসিওএস এবং ফাইব্রয়েডের সমস্যা যার মধ্যে সবথেকে বেশি। এই পিসিওএস থেকেই আসছে ডায়াবিটিসের সমস্যাও। ডায়াবিটিসের থেকেই বাড়ছে হৃদরোগ এবং কিডনির নানা জটিলতা।
আর তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর মেয়েদের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া কিন্তু খুবই প্রয়োজন। এতে আগেভাগেই এড়ানো যায় নানা জটিলতা। ডায়াবিটিসের মত সমস্যায় বদল আনার প্রয়োজন জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। তবে ডায়েট মেনে চলার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। এছাড়াও ডায়েটে এই সমস্ত খাবার যোগ করলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কিছুটা হলেও সহজ হয়, বিশেষত মেয়েদের।
পিনাট বাটার- পিনাট বাটার কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোজকার মেনুতে পিনাট বাটার রাখা যেতেই পারে। রুটি, পাঁউরুটি বা মুজলির সঙ্গে এই পিনাট বাটার খাওয়া যায়। এছাড়াও ইনসুলিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে এই পিনাট বাটার। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই পিনাট বাটারের। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই পিনাট বাটারের।
স্ট্রবেরি- স্ট্রবেরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও স্ট্রবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যে কোনও রকম সংক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে স্ট্রবেরির মধ্যে। যে কারণে ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু এই ফল খুবই ভাল। এছাড়াও এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। আছে ভিটামিন সি, কে, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফোলেট। যা আমাদের ইনসুলিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্ট্রবেরির মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবারও।
সামুদ্রিক মাছ- যে কোনও সামুদ্রিক মাছই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ এই সব মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। যা আমাদের হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিন, টুনা এসব মাছ কিন্তু অবশ্যই রাখুন ডায়েটে। ইনসুলিনের ক্ষরণ ঠিকমত রাখতে এবং অন্যান্য হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে তালিকায় এই মাছ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শাকসবজি- পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, লেটুস, ক্যাপসিকাম, বিনস, ফুলকপি, গাজর, টমেটো, লাউ এসব অবশ্যই রাখুন রোজকার ডায়েটে। কারণ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এই সব সবজি থেকেই। সেই সঙ্গে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই সব সবজির।
বাদাম- আখরোট থেকে শুরু করে ব্রাজিল নাট, চিয়া সিডস, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর বীজ, ফ্ল্যাক্স সিডস এসবও কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে। আবার ওজনও কমায়। এগুলিতে কার্বোহাইড্রেট কিন্তু একেবারেই থাকে না। তুলনায় প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট, খনিজ এসব থাকে অনেকটাই বেশি পরিমাণে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।