আমন্ডের উপকারিতা একাধিক। আর এই উপকারিতার জন্যই রোজ আমন্ড খেতে বলা হয়। কিন্তু সেই আমন্ড কী ভাবে খাওয়া হবে তা নিয়ে একাধিক মতভেদ করেছে। কেউ বলেন, আমন্ড সব ময় ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। কারণ ওতেই আমন্ডের সঠিক পুষ্টি পাওয়া যায়। যে কোনও বাদমই সকালে ভিজিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়। আবার অনেকেই বলেছেন আমন্ড না ভিজিয়ে একেবারে খোসা সুদ্ধ খেতে। কারণ খোসার মধ্যেও থাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল আর শরীরকে খনিজ, পুষ্টি, ভিটামিন সবই সরবরাহ করে। বাদামের মধ্যে থাকে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক -যা মস্তিষ্ক, চোখ, হাড় , শরীরকে পুষ্ট করে এবং সুস্থ করে তোলে। স্মৃতিশক্তি বজায় রাখার জন্য সাধারণত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাদাম খেলে হার্ট, ডায়াবেটিস, দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও কমে। যে কোনও সবজির খোসাতে যেমন পুষ্টি থাকে তেমনটা কিন্তু থাকে বাদামের মধ্যেও।
বাদামের খোসায় যে খনিজ, ভিটামিন থাকে তা শুধু শরীরের জন্যি কিন্তু নয় ত্বক আর চুলের জন্যেও বেশ উপকারী। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন খোসা সমেত আমন্ড খেতেই পারেন। এতে কোনও অসুবিধে হবে না।
এছাড়াও বাদামের খোসায় যে সব উপকারিতা রয়েছে-
বাদামের খোসায় থাকে ফাইবার এবং ফ্ল্যাভিনয়েড। যা আমাদের পেট পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও আমাদের রেচনতন্ত্র ঠিক রাখতে ভূমিকা রয়েছে বাদামের। আমন্ডের খোসা তিসি, তরমুজের বীজ আর মিছরি দিয়ে একসঙ্গে পিষে গরম দুধের সঙ্গে খান। এতে কিন্তু নিজের শরীরেরই ভাল হয়।
আমন্ডের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই। যা আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী। ডিম, নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল আর আমন্ড বেটে চুলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। এতে চুল থাকবে নরম। বাড়বে শাইনও।
বাদামের খোসাও আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভাল। মুখ পরিষ্কার রাখতে এক কাপ বাদামের খোসা, ১/৪ কাপ ওটস, ১/৪ কাপ বেসন, ১/২ কাপ কফি আর টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। রোজ যদি মাখতে পারেন তাহলে মুখ হবে পরিষ্কার। সব ধরণের ত্বকেই ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্যাক।
তাহলে কী ভাবে খাবেন?
যে কোনও খোসাতেই একাধিক উপকারিতা থাকে। আর তাই সবজির খোসাও কিন্তু আমরা চট করে ফেলে দিই না। তেমনই হল আমন্ড। আমন্ডের খোসা-সহ খেলেই কিন্তু বেশি উপকার। স্ন্যাক্স হিসেবে যখন আমন্ড ব্যবহার করা হয় তখন তার খোসা ছাড়ানো হয় না।