Cumin vs Ajwain Water: পেটের চর্বি গলাতে জিরে জল নাকি জোয়ান জল? বিশেষজ্ঞদের মতে সেরা পানীয় কোনটি

আমাদের রান্নাঘরে থাকা জিরে এবং জোয়ান হল তেমনই দুটি শক্তিশালী উপাদান, যা হজম ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে মেদ ঝরানো সব কিছুতেই দারুণ কার্যকর। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই দুই মশলার জলের মধ্যে কে এগিয়ে?

Cumin vs Ajwain Water: পেটের চর্বি গলাতে জিরে জল নাকি জোয়ান জল? বিশেষজ্ঞদের মতে সেরা পানীয় কোনটি
Cumin vs Ajwain Water: পেটের চর্বি গলাতে জিরে জল নাকি জোয়ান জল? বিশেষজ্ঞদের মতে সেরা পানীয় কোনটিImage Credit source: Pinterest

Nov 05, 2025 | 2:57 PM

ওজন কমানোর (Weight Loss) চেষ্টা যখন কেউ করেন, তারা প্রায়শই বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকার দিকে হাত বাড়ান। আমাদের রান্নাঘরে থাকা জিরে (Cumin) এবং জোয়ান (Ajwain) হল তেমনই দুটি শক্তিশালী উপাদান, যা হজম ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে মেদ ঝরানো সব কিছুতেই দারুণ কার্যকর। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই দুই মশলার জলের মধ্যে কে এগিয়ে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।

জিরে জল

এই জলকে মেটাবলিজম বুস্টার বলা হয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর জন্য জিরে জলকে সাধারণত জোয়ান জলের চেয়ে বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম থাকে। যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। খালি পেটে জিরা জল পান করলে শরীরের মেটাবলিজম অর্থাৎ বিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয়, যার ফলে ফ্যাট দ্রুত পুড়তে শুরু করে।

জিরে দিনে ২ চামচ পর্যন্ত ব্যবহার করলে শরীরের তাপ বাড়ে না। বা অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করে না। এটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদে বেশি পরিমাণে খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞের মতে, জিরা জল পান করলে মেটাবলিজম ও ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া উভয়ই বাড়ে। এটি শরীরকে ঠান্ডা রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

জোয়ান জল

গ্যাস ও অ্যাসিডিটির যম বলে পরিচিত জোয়ান জল। জোয়ান প্রধানত তার শক্তিশালী পাচক গুণের জন্য পরিচিত। যদিও এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু এর কাজ করার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। জিরে এবং জোয়ান উভয়ই শরীরে থার্মোজেনিক প্রভাব ফেলে, যা মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জোয়ান জল কিছুটা এগিয়ে কারণ এটি ক্ষুধা বা খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। জোয়ানে থাকা থাইমল হজম প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে সক্রিয় করে, যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ হয়।

যাদের গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা পেট ফোলা সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য জোয়ান জল বিশেষভাবে উপকারী। জোয়ান খুব উষ্ণ প্রকৃতির মশলা। তাই বেশি পরিমাণে এটি সেবন করলে পেটে অতিরিক্ত গরম লাগতে পারে, বা অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। জিরে যেখানে ২ চামচ ব্যবহার করা যেতে পারে, সেখানে জোয়ান মাত্র এক-চতুর্থাংশ চামচ ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

কেউ চাইলে এই দুই মশলা একসঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জল পান করলে তা দ্রুত ডিটক্স করতে এবং সুস্থভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।