Dates and Ghee: রোজ সকালে খেজুর খান? আয়ুর্বেদের এই টোটকা মানলে কমবে পেটের গণ্ডগোল
Ayurvedic Tips: প্রতিদিনের ডায়েটে খেজুর রাখলে দেহে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। কিন্তু খেজুর কোন উপায়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে, জানেন? আয়ুর্বেদের মতে ঘি দিয়ে খেজুর খাওয়ার রয়েছে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা। এই সংমিশ্রণ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের ডায়েটে খেজুর রাখলে দেহে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। কিন্তু খেজুর কোন উপায়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে, জানেন? আয়ুর্বেদের মতে ঘি দিয়ে খেজুর খাওয়ার রয়েছে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা।
আয়ুর্বেদের মতে, ঘিয়ের মধ্যে খেজুর ভিজিয়ে রেখে খেলে স্বাস্থ্যের উপকার হয়। এই সংমিশ্রণ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।
খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, যা ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে মিশে এনার্জি বুস্টারের কাজ করে। অর্থাৎ, ঘিয়ে খেজুর ডুবিয়ে খেলে আপনি কাজ করার এনার্জি পাবেন।
খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। এটি হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে। অন্যদিকে, ঘিও হজম সম্পর্কিত সমস্যা দূর করে। নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য পেটের সমস্যায় ভুগলে আপনি খেজুরের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
খেজুর ও ঘি একসঙ্গে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুরের মধ্যে শর্করা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই মিশ্রণে থাকা ফাইবার শর্করার শোষণের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এতে চট করে সুগার বাড়ে না এবং শরীরে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।
শীতকালে বাতের সমস্যা বাড়ে। গাঁটের যন্ত্রণায় কষ্ট পান অনেকে। কিন্তু খেজুর ও ঘি একসঙ্গে খেলে জয়েন্টের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এটি গাঁটে নমনীয়তা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ঘি ও খেজুর উভয়ের মধ্যেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী ঘি ও খেজুর। এই দুই উপাদান খেলে দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। এতে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমে। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরও এই মিশ্রণ খাওয়া যায়।
