
গরমে সকলের প্রিয় লিচু। মিষ্টি, রসালো এই ফল এমনিতে প্রায় সকলেরই প্রিয়। বছরের এই একটা সময়ে পাওয়া লিচুর চাহিদাও তাই থাকে তুঙ্গে। লিচু যে কেবল খেতেই ভাল এমনটা নয়। এর রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতাও। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন লিচুর উপকারিতা নির্ভর করে কখন তা খাওয়া হচ্ছে তার উপরে। জানেন লিচু খাওয়ার সঠিক সময় কখন? কী কী উপকার হয়?

লিচুতে আছে ৮২ শতাংশ জল। যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে এটি খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকেরও অনেক উপকার হয়। লিচুতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, প্রোটিন, ফাইবারের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

লিচু খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি সঠিক সময়ে খাওয়া হলেই উপকারী। অন্যথায় স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

অনেকেই খালি পেটে লিচু খান, কিন্তু খালি পেটে খেলে আপনার শরীর পূর্ণ পুষ্টি পায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে জলখাবারের ১ ঘন্টা পরে অথবা দুপুরের খাবারের ১-২ ঘন্টা আগে লিচু খাওয়া উচিত। এটি লিচু খাওয়ার উপকারিতা দ্বিগুণ করে তোলে। স্বাস্থ্যের উপর এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

মিষ্টি, রসালো এবং লাল রঙের লিচু স্বাদে সুস্বাদু। এই কারণেই কেউ কেউ আবার প্রচুর লিচু একসঙ্গে খেয়ে নেয়। তেমন করলে কিন্তু হবে না। এতে পরে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, বদহজম বা পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই, দিনে ১০-১৫টির বেশি লিচু খাওয়া উচিত নয়।

লিচু ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লিচুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলাজেন বাড়ায় এবং বলিরেখা, ব্রণ, কালো দাগের মতো ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।

লিচুর অনেক পুষ্টিগুণের একটি হল ফাইবার। ফাইবারের কাজ হল হজমশক্তি উন্নত করা। যার কারণে আমাদের বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয় না। লিচু খেলে ক্যালোরি কমে। ফাইবার বেশি থাকে যা বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে লিচু খেতে পারেন।

লিচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে যেমন ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।