পুরাণ মতে শিবরাত্রির দিনে এক হয়েছিলেন দেবাদীদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতী। শিব পুরাণ মতে, শিব হলেন মহাশক্তি। এই দিন আদি শক্তি এবং পরা প্রকৃতির মিলন ঘটেছিল, যাকে কেউ কেউ আবার শিব-পার্বতীর মিলন বলেন। শাস্ত্র মতে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রচলিত এই দিনে নিয়ম মেনে ব্রত পালন করলে তুষ্ট হন মহাদেব। তাতে মহিলারা ,মনের মানুষকে নিজের জীবন সঙ্গী হিসাবে পান। তবে শাস্ত্রজ্ঞদের মতে পুরুষরাও এই দিন মনের মতো জীবন সঙ্গিনী পেতে এই ব্রত পালন করতে পারেন।
এই দিন ভক্তরা গোটা একটা দিনব্যাপী উপোস করে ব্রত পালন করেন। শিব মন্দিরগুলিতে স্বাভাবিক নিয়মেই উপচে পড়ে ভিড়। ভক্তরা পাঁচরকম ফল, দুধ, ধুতুরা ফুল, আকন্দ ফুল নিবেদন করেন। তাতে মোক্ষলাভ হয় বলে কথিত।
শিবেরভক্তদের জন্য বিশেষ উৎসবগুলির মধ্যে এই শিবরাত্রিও অন্যতম। এই বছর মহাশিবরাত্রি পড়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহাদেবের আশীর্বাদ পেতে মধ্যরাতেও পুজো করেন ভক্তরা। মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করে এবং তাঁর আশীর্বাদ চান।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শিবরাত্রি উৎসব বছরে ১২বার পালিত হয়। তার মধ্যে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি মহাশিবরাত্রি নামে পরিচিত। মহাশিবরাত্রির দিন মহাদেব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল।
মনের সুপ্ত বাসনা পূরণ করতে এবং জীবনে আসা ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে মহাশিবরাত্রির দিনে কালো মরিচ এবং কালো তিলের কিছু প্রতিকার উপকারী হতে পারে।
শিব পুরাণ অনুসারে, যদি মনের কোনও ইচ্ছা অপূর্ণ থাকে, তাহলে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে এই নিয়ম মানুন। মহাশিবরাত্রির দিন আপনার ডান হাতে কালো গোলমরিচ, ৭ টি কালো তিল নিয়ে শিবের ধ্যান করুন। তাতে ইচ্ছে পূরণ হবে দ্রুত হবে বলে বিশ্বাস।
বাড়িতে সবসময় অশান্তির পরিবেশ থাকলে, সাতটি গম নিয়ে সারা ঘরে ছিটিয়ে দিন। মহাশিবরাত্রির দিনে শিবকে কাঠকরবীর মালা নিবেদন করুন। দেখবেন বাড়ির সব অশান্তি কেটে যাবে নিমেষের মধ্যে।