তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি, গলগল করে ঝরছে রক্ত, ন্যাজাটে অশান্তি
“বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সুন্নত আলি মোল্লা। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী।”
ন্যাজাট: অনবরত রক্তক্ষয়, চলছেই। এবার শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat)। মাছ ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বসিরহাটের ন্যাজাট থানার অন্তর্গত তালতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সুন্নত আলি মোল্লা। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, “বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সুন্নত আলি মোল্লা। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী।” বছর চল্লিশের সুন্নত আলি গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অশান্ত হয়ে পড়ে গ্রাম।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: ‘আমি কাঁথির ভূমিপুত্র! ছিলাম, আছি, থাকব’
জখম নেতাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে কলকাতার বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো আজই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে সুন্নত আলি মোল্লাকে। তাঁর বাঁ পায়ে পাঁচটি গুলি এবং ডান পায়ে চারটি গুলি লেগেছে। তৃণমূল নেতার মাথা লক্ষ্য করেও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মাথায় গুলি না-লাগলেও সুন্নত আলির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: মিটিং-এ ডাকে না জেলা নেতৃত্ব , কেঁদে ফেললেন রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী
পরিবারের অভিযোগ, “হাবিবুর রহমান ওরফে বাচ্চা খোকন তাঁর দলবল নিয়ে এসে এই হামলা চালিয়েছে।” এই সশস্ত্র হামলার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ন্যাজাট থানার পুলিস। তৃণমূল নেতার উপর এমন প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। এলাকাবাসীর দাবি, দোষীদের ধরে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক। এলাকায় যেন শান্তি ফিরে আসে, প্রশাসনকে সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও উঠছে।