Hindu Rituals: গ্রাম বাংলার প্রাচীন ব্রতের কদর এখনও! কেন পালন করা হয় অশোক ষষ্ঠী , জানুন

Ashoka sasthi: অশোকষষ্ঠী ব্রত পালনের প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ছয়টি অশোক ফুলের কুঁড়ি, মুগকলাই ও দই বা কাঁঠালি কলা সংগ্রহ করতে হয়।

Hindu Rituals: গ্রাম বাংলার প্রাচীন ব্রতের কদর এখনও! কেন পালন করা হয় অশোক ষষ্ঠী , জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2022 | 6:38 AM

চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথিতে অশোকষষ্ঠী ব্রত পালন করতে হয়। স্ত্রীলোকেরাই এই ব্রত পালন করে থাকে। অশোক ফুল, মুগকড়াই, দই-সহযোগে এই উল্লেখযোগ্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা। চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষে ষষ্ঠী তিথিতে মহিলারা অশোকষষ্ঠী ব্রত পুজো করে থাকেন। ছ’টি মুগ কড়াই ও ছটি অশোক ফুলের কুঁড়ি দই মাখিয়ে খাওয়া হয়। এর আরও একটি বিশেষত্ব আছে। কারণ, এই  খাওয়াটা জিভে ঠেকানো মানেই অমঙ্গল ঘটে যাওয়া। ঐদিন ভাত খাওয়া নিষেধ। লুচি-পরোটা ইত্যাদি খাওয়ার কোনও বাধা নেই। ফল-মূল ও খাওয়া যেতে পারে। ওই দিন সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় প্রত্যেক মা উপবাস পালন করে পুজো করে থাকেন।

অশোকষষ্ঠী ব্রত পালনের প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ছয়টি অশোক ফুলের কুঁড়ি, মুগকলাই ও দই বা কাঁঠালি কলা সংগ্রহ করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ষষ্ঠী পূজার পর দই বা কাঁঠালি কলার মধ্যে ফুলের কুঁড়িগুলি রেখে দাঁতে না লাগিয়ে গিলে খাওয়া হয়। এরপর মুগকলাই খেয়ে সারাদিনের উপবাস ভঙ্গ করতে হয়।

অশোক ষষ্ঠীর ব্রতকথা— পুরাণ অনুযায়ী, তপোবনে এক মুনি থাকতেন। বনটির চারিদিকে অনেক অশোক গাছ জন্মেছিল। মুনি একদিন সকালে পুজোর ফুল তুলতে তুলতে দেখলেন, একটা অশোক গাছের গোড়ায় খুব সুন্দর একটি সদ্যোজাত মেয়ে কাঁদছে। মুনি তখনই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে তাঁর আশ্রমে ফিরে গেলেন। পরে ধ্যান করে তিনি জানতে পারলেন যে, শাপের ফলে হরিণরূপিণী এক স্ত্রীলোক এই মেয়েটিকে প্রসব করেছে। মুনি মেয়েটিকে খুব যত্নে লালন-পালন করতে লাগলেন। হরিণীও রোজ একবার করে এসে মেয়েটিকে দুধ খাইয়ে যেতে লাগল। অশোক গাছের গোড়ায় তাকে পাওয়া গিয়েছিলো বলে মুনি মেয়েটির নাম রাখলেন অশোকা। এই ভাবে মেয়েটি ক্রমে বেশ বড় হয়ে উঠল। এখন তার বিয়ে দেওয়া দরকার। মুনি তখন মনে মনে স্থির করলেন যে, পরের দিন সকালে প্রথমে তিনি যার মুখ দেখবেন, তারই সঙ্গে অশোকার বিয়ে দেবেন।

দৈবের লীলা কে বুঝবে? পরের দিন সকালে উঠে মুনি দেখতে পেলেন যে, এক রাজপুত্র তার অনেক লোকজন নিয়ে আশ্রমের দরজায় অপেক্ষা করছে। মুনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি এখানে এসেছো কেন?” রাজপুত্র বলল, “আমি মৃগয়া করতে বেরিয়েছিলাম কাল রাত্তিরে খুব ঝড় জল হওয়ায় আর ফিরতে পারিনি, আপনার কুটীরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। মুনি দেখলেন ভাল সুযোগ, তখন তিনি রাজপুত্রকে নিজের ইচ্ছার কথা জানালেন। মুনির কথা শুনে রাজপুত্র মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজী হল আর মুনি রাজপুত্রের হাত ধরে অশোকাকে তার হাতে সঁপে দিলেন। মুনি পরে বললেন, “কুমার! আমি তোমার পরিচয় জানি না আর তুমিও এর পরিচয় জানো না, তবুও আমার কথায় তুমি একে বিয়ে করলে—তুমি আর তোমার বাবা, এ বিয়েতে খুশীই হবেন। অশোকা খুবই গুণের মেয়ে।” তারপর মুনি আবার অশোকাকে বললেন, “মা অশোকা, এই অশোক ফুলের বীচিগুলো দিচ্ছি নিয়ে যা আর এখান থেকে যাবার পথে বীচিগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে দিস, তাহলে রাজবাড়ি পর্যন্ত অশোকগাছের সারি হয়ে যাবে আর দরকার হলে তুই একলাই এই অশোকগাছের সারি ধরে আমার কাছে পথ চিনে আসতে পারবি। আর অশোক ফুলগুলো শুকিয়ে রেখে দিস, চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠীর দিনে ওগুলো খাস, তাহলে জীবনে কখনো শোক তাপ পাবি না।”

তথ্য সৌজন্যে- উইকিপিডিয়া

আরও পড়ুন: Astrological Benefits: কোনও শুভ কাজের আগে নারকেল ফাটানো হয়, কেন জানেন?

Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোন তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।