MCG-Eden Gardens: মেলবোর্নে ইডেন গার্ডেন্সের ফ্লেভার, ২০০১-এ ‘ফিরলেন’ অজি কিংবদন্তি…

India vs Australia Boxing Day Test: নীতীশের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তখনও ভারতীয় দল পিছিয়ে ২৫৩ রানে। এরপরই অবিশ্বাস্য কামব্যাক। মেলবোর্নের গ্যালারির উচ্ছ্বাস দেখে ২০০১ সালের ইডেন গার্ডেন্স যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

MCG-Eden Gardens: মেলবোর্নে ইডেন গার্ডেন্সের ফ্লেভার, ২০০১-এ 'ফিরলেন' অজি কিংবদন্তি...
Image Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Dec 28, 2024 | 10:44 PM

পজিটিভ নাকি নেগেটিভ বুঝতে পারছিলেন না। তবে পরিস্থিতি যে অনেকটা একই রকম, অতীতে ডুব দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কিংবদন্তি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে বক্সিং ডে টেস্ট চলছে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাকফুটে ছিল ভারত। তৃতীয় দিনও প্রথম সেশনে ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাডেজার উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে। নীতীশের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তখনও ভারতীয় দল পিছিয়ে ২৫৩ রানে। এরপরই অবিশ্বাস্য কামব্যাক। মেলবোর্নের গ্যালারির উচ্ছ্বাস দেখে ২০০১ সালের ইডেন গার্ডেন্স যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

স্টিভ ওয়ার নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া থেমেছিল ইডেনে। সেই ম্যাচ বিখ্যাত নানা কারণে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকাব্যিক ম্যাচ ইডেনে। টস বিতর্ক দিয়ে শুরু। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪৪৫ রানের জবাবে ভারত ১৭১ রানেই অলআউট। আত্মতুষ্ট অস্ট্রেলিয়া ভারতে ফলো অন করেছিল। এরপরই ভিভিএস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়ের সেই মহাকাব্যিক জুটি। ফলো অন খেয়ে ইডেন টেস্ট জিতেছিল ভারত। সেই অজি টিমে ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। মেলবোর্নের কমেন্ট্রি বক্সেও।

বক্সিং ডে টেস্টে অনেক অনেক এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দর ও নীতীশ কুমার রেড্ডি অষ্টম উইকেটে রেকর্ড ১২৭ রান যোগ করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন সুন্দর। অফস্পিনার নাথান লিয়ঁর ডেলিভারিটা বাড়তি বাউন্স হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন। স্লিপে ক্যাচ। মন খারাপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের স্কোরের সঙ্গে ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬ রানের। এখনও ক্রিজে রয়েছেন নীতীশ-সিরাজ। চতুর্থ দিন কোনও ভাবে যদি আর ২০টা রানও যোগ করা যায়, ফারাকটা দু-অঙ্কে নেমে আসবে।

এই খবরটিও পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ধারাভাষ্যে বলেন, ‘মেলবোর্নের পরিস্থিতি দেখে আমার সেই ২০০১ সালে ইডেনের পরিবেশ মনে পড়ছে। এভাবেই সমর্থকরা চিয়ার করেছিলেন। সুন্দর-নীতীশের পার্টনারশিপ কিন্তু প্যাট কামিন্সকে চাপে ফেলেছে। ওর ডিফেন্সিভ ফিল্ডিং সাজানোতেই পরিষ্কার। এখান থেকে কিন্তু ভারত ম্যাচ জিততেও পারে। চতুর্থ ইনিংসে ভারত বিধ্বংসী গতিতে রান তাড়া করতে পারে। সুন্দর ও নীতীশ যে জুটি গড়েছে, তাতে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ইনিংস কতক্ষণে ডিক্লেয়ার করবে, এই নিয়ে অজি শিবিরও ধাঁধায় থাকবে। এই ম্যাচ এখন যে কোনও দিকেই যেতে পারে।’