কলকাতা: রাজকোটে ড্রিম ডেবিউ হয়েছে সরফরাজ খানের (Sarfaraz Khan)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুম্বইয়ের ছেলের জন্য খুলেছে জাতীয় দলের দরজা। শত বঞ্চনার পর অবশেষে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) জার্সি গায়ে চাপাতে পেরেছেন সরফরাজ। এ বার তাঁকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাচ্ছে একাধিক আইপিএল (IPL) ফ্র্যাঞ্চাইজি। একটা টেস্ট ম্যাচ সরফরাজের দর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আইপিএলের আঙিনা তাঁর জন্য নতুন নয়। কিন্তু আইপিএলে তেমন নজর কাড়তে পারেননি তিনি। ২০২৪ সালের নিলামে তিনি অবিক্রিত ছিলেন। এ বার তাঁকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ক্রিকেট মহলে অনেকেই বলছেন ‘হিরে’ সরফরাজ খানকে চিনে ফেলেছেন ‘জহুরি’ গৌতম গম্ভীর। ফলে এ বারের আইপিএলে KKRএ আসতে পারেন সরফরাজ। গম্ভীর কেকেআরে আসার পর থেকেই এমনই বলা হচ্ছে, অনেক কিছু বদলাবে। অভিজ্ঞতা দিয়ে বেগুনি জার্সিকে পাল্টে দিতে চাইছেন। তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে এক সময় দুটো আইপিএল খেতাব জিতেছিল টিম। তাই আবার করে দেখাতে চাইছেন, মেন্টর হয়ে। সেই গম্ভীরের ভাবনাতে যদি সরফরাজ ঢুকে পড়েন, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সরফরাজকে পাওয়ার দৌড়ে আরও কয়েকটি দল রয়েছে। আরসিবির হাত ধরে আইপিএলের জগতে প্রবেশ করেছিলেন সরফরাজ। শোনা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিও নিতে চাইছে সরফরাজকে। দৌড়ে রয়েছে ৫ বারের আইপিএল খেতাবজয়ী চেন্নাই সুপার কিংসও।
২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৭ বছর বয়সী সরফরাজকে কিনেছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে সরফরাজ আইপিএলে খেলেছিলেন। এবিডি, বিরাট, গেইলরা সেই সময় আরসিবি কাঁপাচ্ছিলেন। ফলে অত সুযোগ পাননি সরফরাজ। ২০১৯ সালের আইপিএলের আগে সরফরাজকে রিলিজ় করে দেয় আরসিবি। সেই সময় পঞ্জাব কিংস তাঁকে কেনে। ২০২১ অবধি প্রীতির দলে ছিলেন। ২০২২ সালের আইপিএলের নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস কিনেছিল সরফরাজকে। ২০২৩ সাল অবধি তিনি দিল্লিতে ছিলেন। ২০২৪ সালের আইপিএলের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয় দিল্লি। ফলে আগামী আইপিএলের আগে সরফরাজকে একাধিক দল নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে।
মুম্বইয়ের ছেলে সরফরাজ খানের মতো মারকুটে ব্যাটার যে কোনও আইপিএল টিমের ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী করবে। ফলে তাঁর পুরনো টিম আরসিবি থেকে শুরু করে কয়েকটা মরসুম ধরে টপ অর্ডার ভোগানো কেকেআরের টার্গেটে সরফরাজ।