ICC World Cup 2023: রাত ৮টাতেই ফাঁকা ইডেন!
ICC ODI World Cup 2023, NED vs BAN: বাংলাদেশের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ৭০ রান। মুশফিকুর আউট হয়ে তখন প্যাভিলিয়নের পথে। আর বাংলাদেশের সিংহভাগ দর্শক তখন ইডেন ছেড়ে হোটেলে ফেরার পথে। গাড়ির খোঁজে। মাহমুদ্দুলাহর ওপর যেন ভরসাই করতে পারলেন না। তিনিই নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন!
রক্তিম ঘোষ
কলকাতা: ‘হরি দিন তো গেল, সন্ধে হল…’ রাত তখন ৮টা ছুঁই ছুঁই। ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) সব দরজা থেকে পিল পিল করে বেরিয়ে আসছে গাঢ় সবুজ জার্সিধারী একঝাঁক কালো মাথা। মিকেরেনের বলে মুশফিকুর রহিমের উইকেট নড়ে যেতেই বাংলাদেশ (Bangladesh) সমর্থকরা যেন হালই ছেড়ে দিলেন। দলের অন্যতম সিনিয়র ব্যাটসম্যান মাহমুদ্দুলাহ রিয়াদ তখনও ক্রিজে। মুম্বই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা মাহমুদ্দুলাহ পারফরম্যান্সের নিকষ সন্ধেয় পার করে দেবে, এমন ভাবনা নেই, থুড়ি ছিল না । ফল, ৬৪ হাজারের ইডেনে হাজির মাত্র ১১ হাজার দর্শকের অর্ধেকই রাত ৮টাতেই ছাড়ল স্টেডিয়াম।বলাই বাহুল্য, বেশিরভাগই কলকাতায় ম্যাচ দেখতে আসা পদ্মাপাড়ের সমর্থকরা।
২২৯ রানে নেদারল্যান্ডসে আটকে রাখা। ম্যাচ যত গড়ায়, ইডেন ততই ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। সেই জায়গায় ২২৯ রান কিন্তু কোনওরকমভাবে জুজু নয়। কিন্তু বল হাতে কমলাঝড় যে তান্ডব শুরু করল প্রথম ওভার থেকে তাতে বাংলাদেশের কাছে ২২৯ রান হয়ে উঠল যেন ৪০০ রানের টার্গেট। কেকেআরে খেলা লিটন দাসের কাছে তো এই ইডেন তো ঘরের মাঠ!মাত্র ৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথে। মাঝে কিছুটা লড়াই তানজিদ ও মেহেদি হাসানের। ব্যস ওটুকুই। জুটি ভাঙতেই হড়পা বানে যেন তলিয়ে গেল বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। সাকিব, রহিমরা দুই অঙ্কেও পৌঁছতেই পারলেন না।
বাংলাদেশের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ৭০ রান। মুশফিকুর আউট হয়ে তখন প্যাভিলিয়নের পথে। আর বাংলাদেশের সিংহভাগ দর্শক তখন ইডেন ছেড়ে হোটেলে ফেরার পথে। গাড়ির খোঁজে। মাহমুদ্দুলাহর ওপর যেন ভরসাই করতে পারলেন না। তিনিই নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন! বাংলাদেশের অর্ধেক দর্শক অবশ্য় রাত ৮টাতেই বুঝে গিয়েছেন ম্যাচের ভবিতব্য। রোজ ১১১ রান আসবে না মাহমুদ্দুলাহর ব্যাট থেকে। এটাই যেন দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে উঠেছিল পদ্মাপাড়ের দর্শকদের মনে। লক্ষ্মীপুজোর রাত ৮টাতেই ইডেন তাই একাদশীর মন্ডপ। অর্ধেকের বেশি অংশ প্রায় খাঁখাঁ করছে। ম্য়াচ গড়িয়েছে তারপরেও সোয়া ১ ঘন্টা।
রাত ৮টাতেই তাই ইডেনের চারপাশে তখন ট্রাফিক সামলানোর তোড়জোড়। পদ্মাপাড়ের সমর্থকদের কাছে তো ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে তখনই!