ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আরও একটা শতরানের পার্টনারশিপ বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসির। এই নিয়ে পঞ্চমবার সেঞ্চুরি জুটি গড়লেন ফাফ ও বিরাট। এ মরসুমে এই প্রথম ৫০ রানের জুটি পেরোলেন তাঁরা। আইপিএলের গত সংস্করণেও দেখা গিয়েছিল, আরসিবির ৭০ শতাংশ রান করেছেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। এ বারের আইপিএলে জুটি জমছিল না। আরসিবিও মাত্র এক ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শতরানের পার্টনারশিপই শুধু নয়, টিমের বাকিদেরও যেন বার্তা দিলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। বিরাট এ বারের আইপিএলে এই নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে ৫০-এর বেশি স্কোর করলেন। যদিও লক্ষ্যটা ছিল অন্য। একদিক আগলে রেখে শুরু থেকে শেষ অবধি ভরসা দেওয়া। সেই ভরসাটাই দিলেন বিরাট কোহলি। মাত্র ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন বিরাট কোহলি। তবে আগের ম্যাচগুলির মতো এরপরই থামেননি।
এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেও বিরাটের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিরাটকে নিয়ে নানা জল্পনা। নির্বাচকরা তাঁকে ছাড়াই বিশ্বকাপের টিম বেছে নিতে পারে, এমন জল্পনাই চলছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। নিজের দিনে বিরাট যে একাই একশো, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন।
ব্যক্তিগত ৯৮ রানে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বোলিং প্রান্তে ব্যাক আপ থাকলে রান আউটের পরিস্থিতি। ডিরেক্ট হিট লাগলেও…। ৬৬ বলে ৯৯ রানে পৌঁছন বিরাট কোহলি। তখন শুধুই স্ট্রাইক পাওয়ার অপেক্ষা বিরাটের। ৬৭ বলে সেঞ্চুরি। আইপিএলে অষ্টম এবং সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নবম সেঞ্চুরি। শেষ সাত ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরি বিরাটের।
কোন মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন? বিরাট বলেন, ‘পিচ দেখে যা মনে হচ্ছিল, তার থেকে অনেকটাই আলাদা। বল আটকে আসছিল, বিশেষ করে স্পিনারদের। আমাদের টার্গেট ছিল ১৯০। একজন শেষ অবধি থাকতে চেয়েছিলাম। উইকেট স্লো হচ্ছিল, ১৮০-১৮৫ টার্গেট ছিল। আগে থেকে কিছু ভেবে নামি না। আমি জানি যে ফর্মে থাকলে যে কোনও সময়েই গিয়ার শিফ্ট করতে পারি। ৬ ওভার টিকে গেলে টিমের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারি।’
বিরাটের অপরাজিত সেঞ্চুরির সৌজন্যে রাজস্থান রয়্যালসকে ১৮৪ রানের টার্গেট দেয় রাজস্থান রয়্যালস। বিরাট একাই ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ফাফ ডুপ্লেসি করেন ৪৪ রান।