বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টি। কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও এমন পরিস্থিতি ছিল। যদিও আগাম জানা ছিল না। কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বৃষ্টি এবং ভেজা মাঠের কারণে দু-দিন খেলা নষ্ট হয়। এরপরও ভারত জিতেছিল। কার্যত আড়াই দিনেই জয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডব। টেস্ট ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। যার শুরুটা রোহিত-যশস্বীর সৌজন্যে। বেঙ্গালুরুতে টেস্টের প্রথম দু-দিন ৭০-৯০ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দু-দিন যদি খেলা না হয়? একইরকম বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা যাবে! ভারতের কম্বিনেশনই বা কী হবে? ক্যাপ্টেন রোহিত জানালেন সেই পরিকল্পনা।
বাংলাদেশ সিরিজে তিন পেসার দুই স্পিনারের কম্বিনেশন খেলিয়েছিল ভারত। বেঙ্গালুরুতে সদ্য দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ হয়েছিল। পিচে ছিল সবুজের আভা। টেস্টেও একই রকম পিচের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিন পেসারের কম্বিনেশনই প্রত্যাশিত। রোহিত বলেন, ‘আজকেও বৃষ্টি হয়েছে। পিচ ঢাকা ছিল। তবে কম্বিনেশন কী হবে, ম্যাচের আগেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তিন ম্যাচেই একই কম্বিনেশন থাকবে, তা নাও হতে পারে। ম্যাচ ধরেই সেরা একাদশ বেছে নেওয়া হবে। তিন পেসার বা তিন স্পিনার, দুই বিকল্পই খোলা রয়েছে।’
উঠে এল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গও। রোহিতের কথায়, ‘ম্যাচের মাঝে আলোচনা করব। পরিস্থিতি কী থাকে, কত ওভার খেলা হতে পারে। কানপুরে আমাদের ধারনা ছিল না দু-দিন ভেস্তে যেতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্ল্যান করেছিলাম। এখানে পুরো ম্যাচেরই প্রত্যাশা থাকবে। পরিস্থিতি বদলালে আমাদের পরিকল্পনা ভাবতে হবে। আমাদের খেলার স্টাইল বদলাবে না, এটুকু বলতে পারি।’
আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের অনেকের সঙ্গেই জুটি গড়েছেন। যশস্বীর সঙ্গে গত দেড় বছরে তাঁর ওপেনিং জুটি অন্যতম আলোচনার বিষয়। দু-জনেরই আগ্রাসী ব্যাটিং। রোহিত অবশ্য যশস্বীর পারফরম্যান্সে অবাক নন। সে কথাই খোলসা করলেন। বলেন, ‘আমি সারপ্রাইজ নই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন। ওকে এখনও বিচার করার সময় আসেনি। তবে ওর মধ্যে সব রসদই রয়েছে। টিমের জন্য বিস্ময় করতে পারে। ধীরে ধীরে উঠেছে, সাফল্য পেয়েছে বলেই দেশের হয়ে খেলছে। সীমিত সুযোগে দেখিয়েছে ও পারে। আশা করি, ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। সব সময় শিখতে চায়, এটা খুবই পজিটিভ দিক। অল্প সাফল্যেই সন্তুষ্ট হয়ে যায় না।’