সামি ফিট নন, বিকল্প পেসারের অভাব; কোথায় সেই বেঞ্চ স্ট্রেন্থ?
IND vs SA, Pace Bowling: সামিকে ছাড়া ভারতীয় পেস বোলিং কতটা অসহায় সেঞ্চুরিয়নেই তাঁর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একই পিচে অভিষেক হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ হাতি পেসার নান্দ্রে বার্গারের। হয়তো বলতেই পারেন, তাঁর ঘরের মাঠে সাফল্য পাবে এটাই স্বাভাবিক! সত্যিই কি তাই? তিনিও পেসার, ভারতের হয়ে যাঁর অভিষেক হয়েছিল সেই প্রসিধ কৃষ্ণাও পেসার। তুলনামূলক ভাবে প্রসিধকে অভিজ্ঞ বলতে হয়। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা বড় মঞ্চে তো প্রথম বার খেলছিলেন না!
কলকাতা: ভারতীয় দল এই মুহূর্তে কি ভরত অরুণকে মিস করছে? হতেও পারে! খুব বেশি আগের কথা তো নয়। ভারতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন ভরত অরুণ। এখন দায়িত্বে পারশ মামরে। রাহুল দ্রাবিড় কোচ হওয়ার পর পুরনো সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে শুধু ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরই রয়েছেন। ফিল্ডিং কোচ, বোলিং কোচে পরিবর্তন। হঠাৎ কেন ভরত অরুণ প্রসঙ্গ! কয়েক বছর আগের কথাও ভাবুন। উপমহাদেশের বাইরের দলগুলিকে ভারতকে পেস বাউন্সি পিচে স্বাগত জানাতে ভয় পেত। হোক সেটা SENA কান্ট্রি। তার প্রধান কারণ, ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পাশাপাশি ভুললে চলবে না বোলিংও। সেই বেঞ্চ স্ট্রেন্থ কোথায় গেল! বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভরত অরুণ প্রসঙ্গ উঠে আসার কারণ, তাঁর সময়ে পেস বোলিংয়ে একঝাঁক বিকল্প ছিল। কাকে ছেড়ে কার নেওয়া যায়! ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদবদের সঙ্গে যোগ হয় মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজরা। মজার বিষয়, উমেশ যাদবের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তাঁর মানের পেসারকে বিদেশে বেঞ্চেই কাটাতে হত। একাদশে জায়গা পাওয়ার এতটাই লড়াই। সকলেই দক্ষ। কাকে ছেড়ে কাকে খেলানো হবে! বর্তমানে বিষয়টা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্টো।
সামিকে ছাড়া ভারতীয় পেস বোলিং কতটা অসহায় সেঞ্চুরিয়নেই তাঁর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একই পিচে অভিষেক হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ হাতি পেসার নান্দ্রে বার্গারের। হয়তো বলতেই পারেন, তাঁর ঘরের মাঠে সাফল্য পাবে এটাই স্বাভাবিক! সত্যিই কি তাই? তিনিও পেসার, ভারতের হয়ে যাঁর অভিষেক হয়েছিল সেই প্রসিধ কৃষ্ণাও পেসার। তুলনামূলক ভাবে প্রসিধকে অভিজ্ঞ বলতে হয়। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা বড় মঞ্চে তো প্রথম বার খেলছিলেন না!
সেঞ্চুরিয়নে ভারতীয় পেস বোলিং আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছিল, একজনই খেলছেন। জসপ্রীত বুমরা। বাকি পেসাররা যেন নেটে বোলিং করছিলেন। কেপ টাউন টেস্টের জন্য সামির পরিবর্ত হিসেবে স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে আবেশ খানকে। হয়তো শার্দূলের পরিবর্তে তাঁকে খেলানো হতে পারে। তখন আবার চাপ থাকবে, ব্যাটিং দুর্বল হয়ে পড়বে না তো! প্রসিধকে একটা সুযোগ দিয়েই বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য ক্ষীণ। যাই হোক না কেন, একটা বিষয় অন্তত পরিষ্কার, যত দ্রুত পেস বোলিংয়ে একাধিক বিকল্প তৈরি করা না গেলে ভুগতে হবে।