বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর মন্তব্য করেছিলেন, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের ‘আবিষ্কাররা’ বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করবেন। তিনি যে ভুল বলেননি, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই প্রমাণ করে চলেছেন। একটা সময় অবধি ভারতীয় ক্রিকেটে পুরোপুরি অচেনা নাম ছিল শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, আশা শোভানা, সজনী সজীবন। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেই তাঁদের উত্থান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলেছেন আশা এবং শ্রেয়াঙ্কা। আলাদা করে বলতে হয় আশার কথা। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর অভিজ্ঞতা। তাতে কিন্তু জাতীয় দলের জায়গা খোলেনি। অবশেষে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের গত সংস্করণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জাতীয় দলে সুযোগ। শ্রেয়াঙ্কাও উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে নজর কেড়েই জাতীয় দলে। এ বার বিশ্বকাপেও সুযোগ পেয়েছেন তিনজন।
প্রথম বার বিশ্বকাপে সুযোগ। প্রথম উইকেটও তুলে নিলেন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। বিশ্বকাপের উইকেটের খাতা খোলা, তাও আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এর চেয়ে সেরা অনুভূতি আর কী হতে পারে! প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট। কোটার শেষ ওভারে তুলনামূলক বেশি রান দেন স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। শেষ অবধি তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৪-১-১২-২। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত শ্রেয়াঙ্কা।
ইনিংস ব্রেকে ভারতের তরুণ স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাটিল বলেন, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম উইকেট পাওয়া অবশ্যই স্পেশাল। তার গুরুত্ব বেড়ে যায় যখন সেই উইকেট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসে। ভাবতেই পারছি না বিশ্বকাপ খেলছি, সকলে আমাদের সমর্থন করছেন।’ তবে তাঁর বোলিং সাফল্যের জন্য় কৃতিত্ব দিতে ভুলছেন না অরুন্ধতী রেড্ডিকে। তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে প্রবল চাপ তৈরি করেন। বাকি বোলারদের সহযোগিতা করেছেন, সেটাই মনে করেন শ্রেয়াঙ্কা।