WPL 2024: এমনও হয়, মেয়েদের লিগে মহিলা কিউরেটর! চেনেন জসিন্থা কল্যাণকে?

India’s First Woman Curator: সব সাফল্যের পিছনেই রয়েছে অবাক করা গল্প। যা প্রেরণা দিতে পারে। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধাদের উত্থান যেমন, তেমনই ভারতের প্রথম মহিলা কিউরেটর জসিন্থার। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার রিসেপশনিস্ট হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্ম জীবন। ক্রিকেট মাঠে পা রাখলেও ক্রিকেটের প্রতি শুরুতে খুব একটা অনুরাগ ছিল না। ধীরে ধীরে নিজেকে সেই জায়গায় তুলে এনেছিলেন। একটা সময় পিচ, মাঠ সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ বাড়তে শুরু করে।

WPL 2024: এমনও হয়, মেয়েদের লিগে মহিলা কিউরেটর! চেনেন জসিন্থা কল্যাণকে?
Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2024 | 12:56 PM

কলকাতা: ছেলেদের ক্রিকেটের মতো মেয়েদের ক্রিকেটও আজ সমান জনপ্রিয়। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো অনেক দেশই সমান বেতন বা চুক্তির আওতায় নিয়ে এসেছেন মহিলা ক্রিকেটারদের। কিন্তু সারা বিশ্বে যা দেখা যায়নি, তারই দর্শন মিলছে ভারতীয় ক্রিকেটে। আর কয়েক ঘণ্টা পর মেয়েদের আইপিএল শুরু হতে চলেছে। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে বলিউডের তারকারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন। তার পরই মেয়েরা নেমে পড়বেন মাঠে। যে বাইশ গজ মাতাবেন তাঁরা, সেই পিচ তৈরি কে করেছেন জানেন? মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগের পিচ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন এক মহিলাই। আশ্চর্য শোনালেও এটাই সত্যই। ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরি করা এই জসিন্থা কল্যাণকে চেনেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সব সাফল্যের পিছনেই রয়েছে অবাক করা গল্প। যা প্রেরণা দিতে পারে। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধাদের উত্থান যেমন, তেমনই ভারতের প্রথম মহিলা কিউরেটর জসিন্থার। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার রিসেপশনিস্ট হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্ম জীবন। ক্রিকেট মাঠে পা রাখলেও ক্রিকেটের প্রতি শুরুতে খুব একটা অনুরাগ ছিল না। ধীরে ধীরে নিজেকে সেই জায়গায় তুলে এনেছিলেন। একটা সময় পিচ, মাঠ সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। কিউরেটর হিসেবে বোর্ডের যে পরীক্ষা হয়, তাতে বসেন। এবং পাসও করেন। কেএসসিএ-তেই তাঁর পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকেই শিখতে শুরু করেন পিচ বানানোর কলাকৌশল। ধীরে ধীরে নেমে পড়েন নিজেই। সেখান থেকেই আজ চিন্নাস্বামীর নায়িকা হয়ে উঠেছেন জসিন্থা।

মেয়েদের লিগ শুরুর ঠিক আগেই জসিন্থা বলে দিচ্ছেন, ‘আমি খুব ভালো করে জানতাম, এই জগতে পুরুষরাই কাজ করে। সেখানে ঢুকে পড়লে আমাকে নিয়ে নানা মন্তব্য আসতে পারে, তাও জানতাম। সে সবে নজর দিইনি। বরং চেষ্টা করেছি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যাতে আমি কিছু অবদান রাখতে পারি। প্লেয়ার কথা মাথায় রেখে মাঠ ও পিচ তৈরির দিকেই ফোকাস করেছি।’

স্বামী কল্যাণ কুমার কিন্তু স্ত্রীর এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত। ছেলে শরথ কল্যাণ মাকে এই ভূমিকায় দেখে গর্বিত। ‘আমার স্বামী আমার দায়বদ্ধতা সম্পর্কে বরাবরই ওয়াকিবহাল। তবে আমি নিজেও জানতাম না, একদিন পিচ কিউরেটর হব। ভারতের মতো ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের প্রথম মহিলা কিউরেটর। একটা মাইলস্টোন আমি ছুঁয়েছি।’

সাফল্যই তো। ক্রিকেটারের উত্থানের মতোই গল্প জসিন্থার জীবন জুড়ে। যে গল্প যে কোনও মেয়েকে অনুপ্রেরণা দেবে। নিয়ম ভেঙে ফেলার মতো কাজ করেছেন কর্নাটকের মহিলা পিচ কিউরেটর।