সুপারস্টার নই, সাধারণ ফুটবলার: রয় কৃষ্ণা
ডার্বি জয়ের পর টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে সাক্ষাৎকার দিলেন রয় কৃষ্ণা। উঠে এল একের পর এক প্রসঙ্গ।
কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলে এখন একটাই নাম। রয় কৃষ্ণা। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গোল করেই চলেছেন এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) এই তারকা ফুটবলার। মেগা ডার্বিতে একাই ছারখার করে দেন এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। নিজে ১টি গোল করেন, বাকি ২টি গোল করান। ডার্বি জয়ের পর টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে সাক্ষাৎকার দিলেন রয় কৃষ্ণা (Roy Krishna)। উঠে এল একের পর এক প্রসঙ্গ।
প্রশ্ন: পরপর ২টো ডার্বিতে ম্যাচের সেরা হওয়ার অনুভূতি কেমন? রয়: আমি খুব খুশি এবং আনন্দিত। ২টো ডার্বিতে ম্যাচের সেরা হওয়ার কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। এসসি ইস্টবেঙ্গল অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। লিগের দ্বিতীয় পর্যায়ে ওদের শক্তি আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছিল।
প্রশ্ন: ডার্বি জয়ের রাতে কী ভাবে সেলিব্রেশন করলেন? রয়: খুব ক্লান্ত ছিলাম। তাই সেলিব্রেট করতে পারিনি। এ ছাড়াও আমার মনে হয়, এখনই সেলিব্রেশন করার সময় আসেনি। সেলিব্রেশনটা আইএসএল শেষের জন্য তুলে রাখলাম।
View this post on Instagram
প্রশ্ন: ডার্বির পর আপনার স্ত্রীয়ের নাচের ভিডিও দেখেছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। রয়: একটু দেখেছি। পুরোটা দেখা হয়ে ওঠেনি। তবে, ওই দিন আমার পারফরম্যান্সে ও উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিল। তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।
প্রশ্ন: পরের বছর যুবভারতীতে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সামনে ডার্বি খেলবেন। কতটা মুখিয়ে রয়েছেন? রয়: এটা একটা ইতিবাচক দিক। দর্শকদের সামনে পারফর্ম করার মজাই আলাদা। এ বছর আমি সেটাকে খুব মিস করছি। আশা করি, করোনার প্রকোপ সরিয়ে পরের বছর থেকে দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ফুটবলটা উপভোগ করতে পারবেন।
View this post on Instagram
প্রশ্ন: গত বছর মোট ১৫টি গোল করেছিলেন। এ বার ইতিমধ্যে ১৪ গোল করে ফেলেছেন। নিজস্ব কোনও টার্গেট রয়েছে? রয়: হ্যাঁ। নিজস্ব একটা টার্গেট থাকেই। আশা করি, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গোল করেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। তবে প্রধান লক্ষ্য একটাই। দলের জন্য পারফর্ম করে প্রতি ম্যাচে ৩ পয়েন্ট এনে দেওয়া। এটাই সব সময় মাথার মধ্যে ঘোরে।
প্রশ্ন: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে আপনাদের সামনে। কী ভাবে দেখছেন? রয়: সত্যিই এক দারুণ মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার মর্যাদাই আলাদা। তবে আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আরও ২টো ম্যাচ বাকি রয়েছে। ওই ২টো ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার ইতিহাস গড়ব আমরা। তাই লক্ষ্য স্থির রেখেই এগোতে চাই।
প্রশ্ন: জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা কতটা কঠিন? অবসর সময়ে কী ভাবে কাটান? রয়: সত্যি খুব কঠিন। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি ভাগ্যবান, স্ত্রী আমার সঙ্গে রয়েছে। ফুটবলের বাইরে স্ত্রীয়ের সঙ্গেই সময় কাটাই। ফুটবল ছাড়া অন্য বিষয়ে আমরা আলোচনা করি। যে কোনও ফুটবলারের পক্ষেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে দিনের পর দিন কাটানো খুব কঠিন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে নতুন মুখ
প্রশ্ন: কোনও রকম চোট-আঘাত ছাড়াই টানা পারফর্ম করে যাচ্ছেন। এর রহস্য কী? রয়: এর পিছনে কোনও রহস্য নেই। আমি আমার শরীরের প্রতি সচেতন। ফিট থাকার জন্য নিয়মিত ট্রেনিং করি। আশা করি, এ ভাবেই নিজের ফিটনেস ধরে রেখে চোট-আঘাত ছাড়া খেলে যাব।
প্রশ্ন: আপনি এখন ভারতীয় ফুটবলের সুপারস্টার। তাও মাটিতে পা রেখে চলেন। কী ভাবে বজায় রাখেন? রয়: আমি কোনও সুপারস্টার নই। আমি একজন সাধারণ ফুটবলার। প্রত্যেক ম্যাচে দলের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দিই। এটাই আমার একমাত্র কাজ। অবসর নেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত এ ভাবেই নিজের কাজ করে যেতে চাই।