Brazil: ব্রাজিলের অনুশীলনে এই দিকটি চোখে পড়েছে?
Tite: মার্কুইনোসের কথায়, 'তিতে ২০১৫ সাল থেকে এই পন্থা অবলম্বন করে আসছেন। সে সময় তিনি করিন্থিয়াসের কোচ। তিতের অনুশীলনেরএই পন্থা কার্ড সমস্যা কাটাতে অনেকটাই কাজে দিয়েছিল।'
তুরিন : ফুটবলের সিলেবাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম কোচ। যিনি প্রায় ঘষেমেজে হাতে করে তৈরি করেন ফুটবলারদের। প্লেয়াররা ভালো হলে দল ভালো নাকি কোচ ভালো হলে দল! এ এক অদ্ভুত প্রশ্ন হতে পারে। সাফল্যের কৃতিত্ব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্লেয়ারদের প্রাপ্তি। ব্যর্থতার দায় পড়ে কোচের উপর। ব্রাজিলের কোচ হিসেবে কাতার বিশ্বকাপেই ইতি তিতে। কড়া অনুশীলনের মাধ্যমে কোচ ফুটবলারকে প্রস্তুত করেন লড়াইয়ের জন্য। এমন কোচও রয়েছেন, যিনি অনুশীলনে অভিনব কিছু নিয়ম বানিয়ে দেন। স্বচ্ছতা রেখেও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কীভাবে আগ্রাসী ফুটবল খেলা যায়, একজন দক্ষ কোচ তাও শেখান তাঁর ছাত্রদের। ব্রাজিলের কোচ তিতেই যেমন। হয়তো এটা অনেকেরই জানা। আবার অনেকে হয়তো জানেন না। ব্রাজিল অনুশীলনে এক অভিনবত্ব রয়েছে। তাই তুলে ধরল TV9 Bangla।
আজ কাতারে পৌঁছনোর কথা ব্রাজিল ফুটবল দলের। প্রায় এক সপ্তাহ ইতালির শহর তুরিনে অনুশীলন সেরেছে ব্রাজিল। তাঁর কঠোর অনুশীলনের কাহিনি আগেও উঠে এসেছে বারবার। একটা বিষয় কতজন লক্ষ্য করেছেন নিশ্চিত নয়। অনুশীলনে ফুটবলারদের শিন গার্ড ব্যবহার করতে দেন না তিতে। কিন্তু কেন? এর নেপথ্যেও রয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য। যা খোলসা করেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারকুইনোস। ব্রাজিল, শুনলেই প্রথমে যে চিত্রটা চোখের সামনে ভেসে উঠতে তা হল ‘জোগো বোনিতো’। সুন্দর ফুটবলকে কুৎসিত করতে নারাজ তিতে। সে কারণেই প্রস্তুতিতে শিন গার্ড ব্যবহারের অনুমতি নেই ফুটবলারদের। তার এই পন্থা নতুন নয়। করিন্থিয়াসে কোচিংয়ের সময়ও এমন করেছেন। এ কথা খোলসা করেছেন মার্কুইনোস। কিন্তু নেপথ্য কাহিনি কী?
প্রস্তুতিই সাফল্য়ের চাবি। অনুশীলনেও ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করেন। নেইমার, দানি আলভেস, রাফিনহা, রড্রিগোরা প্রস্তুতি সারবেন আর তাতে বাড়তি তাগিদ থাকবে না, তা কি হয়! আর ম্যাচ সিচুয়েশন অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করতে গেলে সব ক্ষেত্রে অতি সতর্ক হওয়া যায় না। সে কথা ভেবেই শিন গার্ড ছাড়াই অনুশীলনের নিয়ম ব্রাজিল শিবিরে। কড়া ট্য়াকলে যাতে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের ক্ষতি না হয়, তাঁর কোনও ফুটবলার যাতে কার্ড দেখে দলের সমস্যা না বাড়ান, সে কারণেই এমন পন্থা। সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে অনুশীলনে অনেক ক্ষেত্রেই কড়া ট্যাকল হয়। চোট পেয়ে ছিটকে যেতে পারেন সেই ফুটবলার। তেমন কিছু যাতে না ঘটে সে কারণেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেন তিতে। এর মধ্যে কোন যুক্তি কাজ করে!
মারকুইনোস খোলসা করলেন সেই কাহিনিই। শিন গার্ড ছাড়া অনুশীলন করলে ফুটবলাররা বাড়তি সতর্ক থাকেন। কোনও ভাবেই যাতে সতীর্থের গুরুতর কোনও চোট না লাগে। ম্যাচে অবৈধ ট্যাকল করলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখানো হতে পারে। আরও গুরুতর হলে, জুটতে পারে রেড কার্জও। শিন গার্ড ছাড়া প্র্যাক্টিস করলে একদিকে যেমন সতীর্থ ফুটবলারদের কড়া ট্যাকেল করার সময় চোটের বিষয়টি মাথায় থাকে, তেমনই ম্যাচে কার্ড দেখার বিষয়টিও। শিনবোনের চোট একজন ফুটবলারের কেরিয়ারে ইতি অবধি টানতে পারে। কার্ডের বিষয় তো রয়েইছে। সুন্দর খেলাকে, কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে খেলা যায়, সেই শিক্ষাই দেন তিতে। মার্কুইনোসের কথায়, ‘তিতে ২০১৫ সাল থেকে এই পন্থা অবলম্বন করে আসছেন। সে সময় তিনি করিন্থিয়াসের কোচ। তিতের অনুশীলনেরএই পন্থা কার্ড সমস্যা কাটাতে অনেকটাই কাজে দিয়েছিল।’এ বারের বিশ্বকাপের দল নিয়েও আশাবাদী মারকুইনোস।