কলকাতা: কলকাতায় তাঁর ফুটবল কেরিয়ার শুরু। সেই কলকাতা থেকেই জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখলেন সুনীল ছেত্রী। বিদায় বেলায় আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না ক্যাপ্টেন। গার্ড অফ অনরের সময় কেঁদে ফেললেন সুনীল ছেত্রী। সতীর্থরা একে একে জড়িয়ে ধরেন সুনীলকে। ম্যাচ শেষে সুনীলকে সংবর্ধনা দেয় বাংলার ফুটবল সংস্থা আইএফএ, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, কলকাতার তিন প্রধান আর রাজ্য সরকার। ১৯টা গিনি দিয়ে তৈরি বিশেষ সোনার চেন সুনীলকে দেয় রাজ্য সরকার। সেই গিনির ডিজাইন পছন্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামার আগে দুপুরবেলা সুনীলকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মোবাইল থেকে সুনীলকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ফুটবলের সঙ্গে ভারত অধিনায়ককে যুক্ত করার প্রস্তাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের ফুটবলের উন্নতিতে সুনীলের ছোঁয়া চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ম্যাচের পর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই প্রস্তাব দিয়েছেন সুনীলকে।’ সুনীল নিজেও সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নীল জার্সিতে সারা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশার চাপ সামলেছেন ক্যাপ্টেন। আপাতত কয়েকদিনের বিশ্রাম। তারপর বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে প্রস্তুতি শিবিরে নামবেন। সুনীলের স্ত্রী যেমন বলেই দিলেন আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই দেখতে চান।