Asian Games 2023: মাছের সিস্টার সং, ডংপো, ফ্রায়েড পর্ক… ঝোলে-ঝালে-অম্বলে এশিয়ান গেমসের ডাইনিং হল!
Asian Games 2023, Dishes for Athletes: খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রতিবারই থাকে। ২০১০ সালে গুয়াংঝাউ এশিয়ান গেমসের সময় ভারতীয় অ্যাথলিটরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খাবারের স্বাদ নিয়ে। তাঁদের সন্তুষ্ট করার জন্য লন্ডন থেকে রাঁধুনি উড়িয়ে এনেছিল চিন। এ বার অবশ্য তেমন খবরের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কেউ কেউ কি মুখ ভার করছেন না? কফির স্বাদ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মালয়েশিয়ার এক সাংবাদিক। তা হোক, চিনের খাবার এশিয়ান গেমসে চিনের পারফরম্যান্সের মতোই আকর্ষণীয়।

একেবারে রাজবাড়ির ভোজসভা যাকে বলে, আক্ষরিক অর্থে তাই! বহরে এত বড় যে, এ মাথা-ও মাথা দেখাই যায় না। একটু বাড়িয়ে যদি বলা হয়, যে কেউ চাইলে সেরে নিতে পারেন ইভনিং ওয়াক। কিংবা ডিনারের পর খাবার হজম করতে কয়েক কদম হাঁটাও যায়। এ হেন জায়গার নাম গেমসের ডাইনিং হল। দেশ যাই হোক না কেন, এই সার্বজনীন খাবার ঘর বা ডাইনিংয়ের চেহারায় কোনও বদল থাকে না। অলিম্পিক থেকে এশিয়ান গেমস, সব দেশের অ্য়াথলিটরা যেখানে বসেন পাশাপাশি। চলে ভাব, ভাষা এবং খাবারের আদানপ্রদান। হানঝাউ এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) ডাইনিং হলে কেমন খাবার মিলছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অ্যাথলিটের ডায়েট ও স্বাদ দুই যাতে অটুট থাকে, সে দিকে নজর রাখে আয়োজক দেশ। এশিয়ান গেমসের আয়োজক চিন সতর্ক চোখ রেখেছে সব দিকেই। গুণগত মান ধরে রাখার সঙ্গে পরিচিত খাদ্যাভ্যাস, তালমিলিয়ে ভরপুর চিনা স্বাদে গরম গরম খাবার থালায় তুলে দিচ্ছে আয়োজকরা। চিনের ছ’টা জনপ্রিয় ডিশও রাখা হচ্ছে অ্যাথলিটদের জন্য। মাংস দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যশালী ডংপো, মাছের সিস্টার সং, সটিড সৃম্প, বেজিং-স্টাইল গরুর মাংস, গার্লিক স্পেয়ার রিবস আর ফ্রায়েড পর্ক। সঙ্গে ঠান্ডা ও গরম থালি। এবং শেষ পাতে মিঠাই। বিভিন্ন অঞ্চলের অ্যাথলিটদের কথা মাথায় রেখে নানা রকম খাবার রাখা হয়েছে। ইস্ট এশিয়ানদের জন্য একরকম, দক্ষিণ এশিয়ান, উপমহাদেশের, আরব ও মিডলস ইস্টের খাবার। সঙ্গে মাথায় রাখা হয়েছে কোচ, কর্তাদের কথাও। তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে স্বাদপূরণের সম্ভার।
যে কোনও গেমসের আয়োজকরা সব সময় নিয়ম মেনে চলে। কী কী খাবার রাখা হবে ডাইনিং হলে, তা ঠিক করে দেয় এশিয়ান কাউন্সিল। ভারত থেকে শুরু করে সমস্ত দেশের অ্যাথলিটদের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয় তা। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের তরফে। তাতে ভারতের হকি গোলকিপার কৃষ্ণণ বাহাদুর পাঠক তাঁর প্রিয় খাবারের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ভারতীয় খাবারই চাই তাঁর। প্রায় সব দেশের অ্যাথলিটরা তুলে ধরেছেন তাঁদের পছন্দের খাবারের কথা, যা পাওয়া যাচ্ছে গেমসের ভিলেজের ডাইনিং হলে।
খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রতিবারই থাকে। ২০১০ সালে গুয়াংঝাউ এশিয়ান গেমসের সময় ভারতীয় অ্যাথলিটরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খাবারের স্বাদ নিয়ে। তাঁদের সন্তুষ্ট করার জন্য লন্ডন থেকে রাঁধুনি উড়িয়ে এনেছিল চিন। এ বার অবশ্য তেমন খবরের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কেউ কেউ কি মুখ ভার করছেন না? কফির স্বাদ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মালয়েশিয়ার এক সাংবাদিক। তা হোক, চিনের খাবার এশিয়ান গেমসে চিনের পারফরম্যান্সের মতোই আকর্ষণীয়।
