ভারতে চারটি চমৎকার ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooters) লঞ্চ করল ক্যানোপাস (Canopus)। সেই চারটি মডেল হল, অরোরা, স্কারলেট সোলেট এবং ভ্যালেরিয়া। এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলিতে ট্রান্সমিশনের জন্য দেওয়া হয়েছে ক্যামিভিটি প্রযুক্তি (CAMIVT Technology) এবং কন্ট্রোলার হিসেবে থাকছে এফওসি টেকনোলজি। টেলর-মেড মোটর রয়েছে এবং দুর্ধর্ষ শক্তি সংরক্ষণকারী সিস্টেমও দেওয়া হয়েছে ক্যানোপাসের লেটেস্ট চারটি ইলেকট্রিক স্কুটারে। ২০২২ সালের মার্চ মাসেই বিক্রিবাট্টা শুরু হয়ে যাবে অরোরা, স্কারলেট সোলেট এবং ভ্যালেরিয়া নামক ক্যানোপাসের এই চারটি ইলেকট্রিক স্কুটারের। এদিকে ইলেকট্রিক ভেহিকল সেগমেন্টে এই সংস্থা ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলির প্রোটোটাইপ তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকরণও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ক্যানোপাসের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যে প্রতি কিলোমিটারে 20 পয়সার অফারটি অনন্য। ক্যানোপাস বলছে, অভিনব ই-স্কুটারটি দেশের গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চল জুড়ে জনগণকে উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজার থেকে ছোট দূরত্বে ভ্রমণ এবং পরিষেবা শ্রেণী পর্যন্ত একটি বহুমুখী গ্রাহকের জন্য ব্যাপক ভাবে সহায়ক হবে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি ক্রয় করতে খুব সহজেই এটিডি ফাইন্যান্স থেকে ইনস্টলমেন্টে সুবিধা পাওয়া যাবে। ক্যানোপাসের আরঅ্যান্ডডি সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে আমেদাবাদে। পাশাপাশি সংস্থা আর একটি প্রোডাকশন ইউনিট খোলার পরিকল্পনা করছে রাজস্থানে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ক্যানোপাস সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আরও ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করবে।
ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস
ক্যানোপাসের এই নতুন ইলেকট্রিক স্কুটারগুলিতে রয়েছে আইওটি-ভিত্তিক টেলিম্যাটিক্স স্মার্ট টিএফটি ড্যাশবোর্ড এবং একটি মোবাইল অ্যাপ, যা চালকের ড্রাইভিং আচরণ থেকে শুরু করে ব্যাটারি স্টেটাস, রাইডিং মোডস-সহ আরও একাধিক বিষয় ডিসপ্লে করতে সক্ষম হবে। এই চারটি ইলেকট্রিক স্কুটারেই একাধিক স্মার্ট ফিচার্স রয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, জিওফেন্সিং, জিপিএস ট্র্যাকিং, মহিলাদের জন্য আপৎকালীন ভিত্তিতে এসওএস, রোডসাইড অ্যাসিস্ট্যান্স-সহ আরও একাধিক জরুরি ফিচার্স।
এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি সম্পূর্ণ ভাবে চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। তবে ক্যানোপাসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এই বাইকগুলির নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি তাদের মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই ৮০ শতাংশ চার্জ করে দিতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি ব্যাটারি সোয়্যাপ বা রিপ্লেস করার প্রযুক্তিও রয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্যানোপাস হল এটিডি এবং এসরাম অ্যান্ড এমরাম গ্রুপের জয়েন্ট ভেঞ্চার, যাদের হেডকোয়ার্টার রয়েছে নয়ডাতে।
এসরাম অ্যান্ড এমরাম গ্রুপের তরফ থেকে সৈলেশ লাচু হিরানন্দানি দাবি করলেন, “নতুন প্রযুক্তির মিশেলে ভরপুর এই ই-স্কুটার সবুজ বিশ্ব তৈরির প্রচেষ্টায় দেশবাসীকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আমাদের এই দুই সংস্থার টাই-আপের ফলে ইলেকট্রিক মোবিলিটির দিক থেকে বিভিন্ন সমাধানের একটি পোর্টফোলিও প্রদান করবে যা বিদ্যমান বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারটিকে ব্যাপক গ্রাহক-কেন্দ্রিকতায় উন্মুক্ত হতে সাহায্য করবে।”
এদিকে এটিডি গ্রুপের চেয়ারম্যান মরোরঞ্জন মোহান্তি বলছেন, “আমাদের এই টাই-আপের ফলে আমরা বিশ্বাস করি যে, ভারতের ইলেকট্রিক ভেহিকলের বাজরটি আমরা আরও উন্নত করতে পারব কম দামের মধ্যে কিছু দুর্ধর্ষ ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে এসে। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগকে সমর্থন করার মাধ্যমেই কর্মসংস্থানেরও বন্দোবস্ত করতে পারব বহু মানুষের। সেই সঙ্গে সেরার সেরা বাইক ও স্কুটারও প্রস্তুত করতে পারব।”
আরও পড়ুন: দেশের মোট ২০ শহরে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ হল বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার
আরও পড়ুন: সস্তার হাস্কভার্না ভেক্টর আসছে ভারতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালানো যাবে এই ইলেকট্রিক স্কুটি!
আরও পড়ুন: এক্সথ্রি এসইউভি-র নতুন ডিজ়েল ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এল বিএমডব্লু, দাম ৬৫.৫০ লাখ টাকা