Bajaj Chetak Electric Scooter: দেশের মোট ২০ শহরে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ হল বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার

পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের মোট ১০টি রাজ্যের মানুষজন এবার বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার কিনতে পারবেন।

Bajaj Chetak Electric Scooter: দেশের মোট ২০ শহরে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ হল বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার
বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 4:21 PM

চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) ভক্তদের জন্য সুখবর নিয়ে এল বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। ১৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার এই দু’চাকা গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে যে, বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারটি (Bajaj Chetak Electric Scooter) দেশের ২০টি শহরে কেনাকাটির জন্য উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে। বুকিং করার মাত্র চার সপ্তাহ থেকে আট সপ্তাহ অপেক্ষার পরে গ্রাহকরা এই বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারটি হাতে পেয়ে যাবেন। বাজাজ অটো আরও জানিয়েছে যে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ সপ্তাহ ধরে লাগাতার চেষ্টার পরে চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের নেটওয়ার্ক ডাবল করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার বুকিং করা যাবে কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। এর আগে মোট আটটি শহরে কেনাকাটির জন্য উপলব্ধ হয়েছিল এই ইলেকট্রিক স্কুটার। দেশের আরও যে ১২টি শহরে বাজাজ চেতক বিদ্যুচ্চালিত ইলেকট্রিক স্কুটারি বিক্রি করা হবে, সেগুলি হল কোয়েম্বাত্তুর, মাদুরাই, কোচি, কোঝিকোড়, হাবলি, বিশাখাপত্তনম, নাসিক, বাসাই, সুরাত, দিল্লি, মুম্বই এবং মাপুসা। এর আগে যে আটটি শহরে এই ইলেকট্রিক স্কুটার কেনাকাটির জন্য উপলব্ধ হয়েছিল, সেগুলি হল ম্যাঙ্গালোর, মাইসোর, পুণে, নাগপুর, ঔরঙ্গাবাদ, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং কলকাতা। সব মিলিয়ে মোট ১১টি রাজ্যে উপলব্ধ হল স্কুটারটি – দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, দমন ও দিউ, গুজরাত, কেরল, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানা।

এদিকে আবার ইলেকট্রিক ভেহিকলের প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি বাড়াতে আরও ৩০০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা করেছে বাজাজ অটো। এই বিষয়ে দু’চাকা গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটির এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা বলছেন, “চেতকের সাফল্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষিত, নির্ভরযোগ্য পণ্যের মানের উপর নির্মিত হয়েছে। বিক্রয় এবং পরিষেবার অন-গ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক, ইলেকট্রিক স্কুটারের মতো একটি অপরিচিত বিভাগে প্রবেশ করার গ্রাহকের উদ্বেগকে হ্রাস করে। আমাদের পরিকল্পনা হল উচ্চ চাহিদা মিটমাট করার জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চেতকের নেটওয়ার্ক দ্বিগুণ করা।”

বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারটির মোট দুটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে – একটি আরবান এবং অপরটি প্রিমিয়াম। মেকানিক্যালি দুটি ভ্যারিয়েন্টই প্রায় এক। এই ইলেকট্রিক স্কুটারের সোর্স পাওয়ার আসছে একটি ৩.৮ কিলোওয়াট মোটর থেকে, দেওয়া হয়েছে একটি ৩কেডব্লুএইচ আইপি৬৭ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা রিমুভেবল নয় অর্থাৎ কখনও খোলা যাবে না। হালফিলের প্রায় বেশির ভাগ ইলেকট্রিক স্কুটারেই দেওয়া হচ্ছে সোয়্যাপেবল বা রিমুভেবল ব্যাটারি সেটআপ। বাজাজ কিন্তু এই প্রযুক্তিকে এখনও পর্যন্ত আপন করে নিতে পারেনি। বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের সর্বোচ্চ স্পিড ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং রেঞ্জ ৯৫ কিলোমিটার (ইকো মোড), অর্থাৎ স্কুটারটি একবার চার্জ দিলে ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়তে পারবে। স্কুটারটি চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

বাজাজের এই ইলেকট্রিক স্কুটারের মোট চারটি কালার মডেল রয়েছে। সেগুলি হল, ইন্ডিগো মেটালিক, ভেলুট্টো রোস্সো, ব্রুকলিন ব্ল্যাক এবং হ্যাজ়েলনাট। বাজাজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের প্রিমিয়াম মডেলের দাম ভারতে ১.৪৫ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।

আরও পড়ুন: এক্সথ্রি এসইউভি-র নতুন ডিজ়েল ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এল বিএমডব্লু, দাম ৬৫.৫০ লাখ টাকা

আরও পড়ুন: সস্তার হাস্কভার্না ভেক্টর আসছে ভারতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালানো যাবে এই ইলেকট্রিক স্কুটি!

আরও পড়ুন: অবাক যন্ত্র আবিষ্কার ভারতীয়ের! সাইকেলে বসালে মুহূর্তে ইলেকট্রিক বাইক, বাজারে আনতে বিনিয়োগ ভাবনা আনন্দ মাহিন্দ্রার