ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল (BSNL) তার উপভোক্তাদের ভ্যানিটি নম্বর (Vanity Number) ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। ভ্যানিটি নম্বর শুনে খানিক চমকালেন, তাই তো? আচ্ছা, যদি বলি ফ্যান্সি নম্বর, তাহলে তো নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! হ্যাঁ, কিছুটা ওই ভিআইপি নম্বর (VIP Number) গোছের ব্যাপার। প্রতিটি টেলিকম সংস্থাই তার ইউজারদের ফ্যান্সি বা ভিআইপি নম্বর অফার করে থাকে। এই ধরনের বিশেষ নম্বরের বিশেষ বিষয়টি হল, নম্বরের কম্বিনেশন হয় একটু অন্যরকম, যা ছাপোষা আর পাঁচটা ফোন নম্বরের থেকে আলাদা এবং মনে রাখাও সহজ হয়। তবে হ্যাঁ, এই ধরনের নম্বর বিএসএনএল তার ইউজারদের ফ্রি-তে অফার করে না। কী ভাবে আপনি একটা বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বর পাবেন, তাই একবার জেনে নিন।
বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বর কী ভাবে পাবেন
টেলিকম বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেলিকম টক-এর একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ই-অকশন বা ই-নিলামের মধ্যে দিয়ে বিএসএনএল তার গ্রাহকদের ভ্যানিটি নম্বর দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে নম্বর নিলামে তোলা হয় এবং যার দর বেশি ওঠে, তিনি সেই নম্বরটি নিয়ে চলে যান। মনে রাখা জরুরি যে, ভারতের সমস্ত প্রান্তের, সমস্ত টেলিকম সার্কেলের ইউজারদের জন্য এই ভ্যানিটি নম্বরটি উপলব্ধ, তা সে প্রিপেড বা পোস্টপেড যে ইউজারই হোক না কেন।
বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বরের বিশেষত্ব
বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বরের বিশেষ দিকটি হল, আপনাকেই নম্বর বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এই টেলিকম সংস্থাটি। এমনকি বেসরকারি টেলকোগুলি যে সব ভিআইপি নম্বর অফার করে, সেগুলি আপনার বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। আর সেই কারণেই বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বরের চাহিদাও বেশি। তবে হ্যাঁ, সেই ভিআইপি নম্বরের বেস প্রাইস অর্থাৎ কত টাকা থেকে দর শুরু হবে, তা একমাত্র বিএসএনএল-ই ঠিক করে।
কী করতে হবে?
১) বিএসএনএল প্রিমিয়াম নম্বর বা ভ্যানিটি নম্বর নিতে আপনাকে সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-অকশন পেজে রেজিস্টার করতে হবে।
২) সেই পেজে গেলে আপনি দেখতে পাবেন গুচ্ছের নম্বর, যেগুলি ই-অকশনের মাধ্যমে উপভোক্তারা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন।
৩) আবার এমনও গুচ্ছের নম্বর রয়েছে, যেগুলি আপনার ভ্যানিটি নম্বর হিসেবে বাছাই করে নিলামে তুলতে পারেন।
৪) বিভিন্ন প্যাটার্ন এবং ধরনের নম্বর পেয়ে যাবেন এই ই-অকশন পেজে।
৫) পেজটিতে আপনি বিনামূল্যে সাইন-আপ করতে পারবেন ঠিকই। কিন্তু সেই নম্বরটি নিজের করে নিতে আপনাকে বিডিং অ্যামাউন্ট বিএসএনএল-এর কাছে জমা রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে
১) বিএসএনএল ই-অকশন পেজে অনেক সময় কোনও নম্বর দেখা যায় না। প্রায়শই পেজটি আপডেটেড হতে থাকে, কারণ বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বরের চাহিদা বেশ ভালই। তাই আপনি একটা বিএসএনএল ভিআইপি নম্বর যদি চান, তাহলে রোজ পেজটি একবার করে চেক করুন।
২) বিডিং অ্যামাউন্ট বা দর অনেক সময় অনেকটাই বেশি ওঠে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে খরচ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। তাই এটা ভাবলে চলবে না যে, সস্তায় আপনি একটা বিএসএনএল ভ্যানিটি নম্বর পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: আর একটা সস্তার ফোন নিয়ে আসছে মাইক্রোম্যাক্স, প্রকাশ্যে দাম ও ফিচার্স
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ১৩-র ফার্স্ট লুক দেখাল গুগল, ভোল বদলে দেবে আপনার ফোনের!
আরও পড়ুন: একই খরচে রিলায়েন্স জিও-র থেকে ৪৫২জিবি অতিরিক্ত ডেটা অফার করছে বিএসএনএল