Who Owns Moon: চাঁদে জমি কেনা মানেই কি সম্পত্তির মালিকানা? কী বলছে মহাকাশের আইন?

China Or America Who Owns Moon: চাঁদে এখনও পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন করে আসতে পেরেছে বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ— একটি চিন এবং অপরটি আমেরিকা। কিন্তু, পতাকা রেখে আসা মানেই কি চাঁদ সে দেশের হয়ে গেল?

Who Owns Moon: চাঁদে জমি কেনা মানেই কি সম্পত্তির মালিকানা? কী বলছে মহাকাশের আইন?
পতাকা উত্তোলন করা মানেই কি চাঁদ সে দেশের?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 5:50 PM

Outer Space Treaty: নক্ষত্র হিসেবে সূর্যকে বাদ দিলে পৃথিবী থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান মহাকাশের উপগ্রহ হল চাঁদ। সেই চাঁদে এখনও পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন করে আসতে পেরেছে বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ— একটি চিন এবং অপরটি আমেরিকা। কিন্তু, পতাকা রেখে আসা মানেই কি চাঁদ সে দেশের হয়ে গেল? দেশের পতাকা উড়ছে মানেই কি চাঁদকে তাদের সম্পত্তি মনে করতে পারে ওই দুই দেশ? যদিও দুই দেশেরই কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে, তাঁরাকে চাঁদকে নিজেদের দেশের সম্পত্তি বলে মনে করেন না বলে জানিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদে যদি কারও জমি থাকে, তাহলেই কি তিনি মালিকানার দাবিদার হতে পারেন?

1957 সালের অক্টোবরে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট স্পুটনিক-1 উৎক্ষেপণ করেছিল। সেই উৎক্ষেপণই মহাকাশে সম্ভাবনার একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছিল। তবে সেই সম্ভাবনার কিছুটা অংশ জুড়ে যদি বৈজ্ঞানিক দিক থেকে থাকে, বাকি অংশটা জুড়ে ছিল আইনি জটিলতা। তার প্রায় এক দশক পরে গ্লোবাল কমিউনিটি মহাকাশ সংক্রান্ত প্রথম আইনি দলিল আউটার স্পেস চুক্তির খসড়া তৈরি করে।

সেই চুক্তিই আজ মহাকাশ আইনের সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে গিয়েছে বছরের পর বছর ধরে। ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি স্কুল অফ ল-এর মহাকাশ আইন বিশেষজ্ঞ মিশেল হ্যানলনের কথায়, এগুলি শুধুই নির্দেশিকা এবং নীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।

হ্যানলন বলছেন, মহাকাশ চুক্তিতে সেখানে জমি দখলের বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে। চুক্তির দুই নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনও দেশ, মহাকাশ বা মহাকাশীয় বস্তুর কোনও অংশের দখল ঘোষণা করতে পারে না। পাশাপাশি কোনও দেশ চাঁদের সার্বভৌমত্বও দাবি করতে পারে না বলেও যোগ করলেন তিনি। কিন্তু যখনই চাঁদে জমি কেনা বা ঘাঁটি গেড়ে বসার বিষয়টি আসে, তখনই তা অস্পষ্ট হিসেবে ধরা দেয়। হ্যানলনের কথায়, দেশগুলি ঠিক যে অঞ্চলে পতাকা পুঁতে আসে, সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলিকে নিজেদের বলে দাবি করতেই পারে।

এদিকে আবার চুক্তির তিন নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, যে কোনও ব্যক্তির মহাকাশে সম্পত্তির মালিক হওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। যে কেউ, চাঁদের যে কোনও অংশে বাড়ি তৈরি করে নিজেদের বলে দাবি করতে পারে। কেউ চাঁদে জায়গা কিনলে, ঠিক যেমনটা আমরা শুনে থাকি, তা আসলে চাঁদের সেই নির্দিষ্ট অংশের মালিক হওয়া।

তবে মহাকাশ আইনের 12 নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই ভাবে চাঁদে জমি কিনে, সেই অংশকে যে কোনও দেশের মালিকানা দাবি করার সমস্ত প্রচেষ্টাকে বিফল করতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও মহাকাশীয় বস্তুতে, যে কোনও ধরনের ইনস্টলেশন, কেউ নিজের মালিকানাধীন বলে দাবি করতে পারে না। আর যদি কেউ তা করেও থাকে, তাহলে সেটি সকলেরই ব্যবহারযোগ্য হওয়া উচিত। এর পাশাপাশিই কোনও বাণিজ্যিক বা স্বতন্ত্র ইউনিট যা মহাকাশের কোনও জায়গায় প্রেরণ বা ইনস্টল করা হয়েছে, সেটি একমাত্র সেই দেশটিরই মালিকানাধীন বলে বিবেচিত হবে।