China: আমেরিকাকে ফের টেক্কা চিনের, অসম্পূর্ণ স্পেস স্টেশনে রওনা দিচ্ছে তিন মহাকাশ্চারী!
শেনঝো-১৩ মহাকাশযানটি শনিবার বেজিংয়ের সময় সকাল ০০.২৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন চায়না ম্যানড স্পেস প্রোগ্রামের মুখপাত্র লিন শিকিয়াং।
ফের রেকর্ড গড়তে চলেছে চিন। শনিবার, আমেরিকার পর তিন নভশ্চরকে মহাকাশে ঘুরিয়ে এনে রেকর্ড করল চিন। মহাকাশে আরও একবার এক মহিলা-সহ তিন নভশ্চরকে মহাকাশ ভ্রমণ করিয়ে ফের বাজিমাত করল চিনের গবেষণা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে প্রথম মহিলা নভশ্চরের নেতৃত্বে তিনজনের দলটি মহাকাশ স্টেশন থেকে অসম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। সেখানে ছয়মাস থাকার কথা। এই স্টেশনে চারটি পরিকল্পিত ক্রু মিশনের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বার হতে চলেছে। আগামী বছরের শেষে নাগাদ এই মিশন শেষ হওয়ার কথা।
শেনঝো-১৩ মহাকাশযানটি শনিবার বেজিংয়ের সময় সকাল ০০.২৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন চায়না ম্যানড স্পেস প্রোগ্রামের মুখপাত্র লিন শিকিয়াং।
চিনের শেনঝো-১৩ মহাকাশযানে চেপে আগামীকাল শনিবার মহাকাশে পাড়ি দেবেন ওয়াং ইয়াপিং (৪১), ইয়ে গুয়াংফু (৪১) ও ঝাই ঝিগ্যাং (৫৫)। নভশ্চরদের প্রশিক্ষক ঝাই ঝিগ্যাং এই মিশনের কম্যান্ডার। এদিন লিন জানিয়েছেন, ৫৫ বছর বয়সি ঝাই ঝিগ্যাং যিনি ১৯৯০ সালের শেষে চিনির প্রথম মহাকাশ্চারী প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তিনি শেনঝো-১৩-এর মিশন কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে ঝাই বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক সমস্যার পাশাপাশি সরঞ্জাম ও সুবিধা সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। এই মিশনটি ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারব কিনা তা নির্ভর করে আমাদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও তিনজন ক্রুয়ের লড়াইয়ের মনোভাবের উপর।’
নভশ্চরদের মহাকাশ পাড়ির উদ্দেশ্য হল স্পেস স্টেশনের কাজের তদারকি করা। পৃথিবীর কক্ষে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরির জন্য কয়েক বছর ধরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে চিন। এপ্রিল মাসে প্রথম স্থায়ীভাবে মহাকাশ স্টেশনটি নির্মাণ শুরু করে চিনের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। তিয়াংগ হে উত্ক্ষেপনের মাধ্যমে স্টেশনের তিনটি মডিউলের মধ্যে প্রথম ও বৃহত্তম। তিয়ানহে একটি সিটি বাসের চেয়ে কিছুটা বড় মাপের। স্পেশ স্টেশনটি সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটি বসবাসের যোগ্য জায়গা গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: Pluto: ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্লুটোর বায়ুমণ্ডল, কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা