হৃত্বিক রোশন
৫০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে হৃত্বিক রোশনের। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্ম তাঁর। বলিউড তারকা রাকেশ রোশনের পুত্র হৃত্বিক। শোনা যায়, বাঙালি কিংবদন্তি পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ভক্ত ছিলেন রাকেশ। ফলে ছেলের নামকরণ করেছিলেন সেই নামেই। ২০০০ সালে বাবা রাকেশের পরিচালনাতেই অভিনয় শুরু করেন হৃত্বিক। সেই ছবির নাম ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। প্রথম ছবিতেই কেল্লাফতে করেন হৃত্বিক। হু-হু করে বাড়তে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা। সুদর্শন অভিনেতাকে সেই সময় মন দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশের অগুনতি নারী। কেবল অভিনয় নয়, নাচেও দারুণ পারদর্শী হৃত্বিক। প্রথম ছবিতে তাঁর নাচের স্টেপস এখনও নকল করা হয়। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পর বলা হত শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। তারপর শাহরুখের ভাইয়ের চরিত্রে ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে অভিনয় করেন হৃত্বিক। ২০০৩ সালে ফের বাবার পরিচালনায় ‘কোই… মিল গেয়া’ ছবিতে অভিনয় করেন হৃত্বিক। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির চরিত্রে মেথড অ্যাক্টিং করে সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। সেই ছবির ফ্র্যাঞ্চাইজ়িও তৈরি হয়: ‘কৃশ’। কেরিয়ারে পরপর বহু ব্লকবাস্টার দিয়েছেন হৃত্বিক। ‘ধুম ২’, ‘জ়িন্দেগি না মিলেগা দোবারা’, ‘যোধা আকবর’, ‘অগ্নিপথ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রচুর ফ্লপ ছবিও আছে তালিকায়। সুন্দর চেহারার কারণে তাঁকে বলিউডের ‘গ্রিক গড’ বলা হয়। ২০১২ সাল থেকে ১০০ জন প্রভাবশালী ভারতীর তালিকায় আছেন তিনি। পেয়েছেন একাধিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। হৃত্বিকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বেশ হইচই হয়। প্রথম ছবির পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন হৃত্বিক। প্রেমিকা সুজ়ান খানকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে ভেঙে যায়। তাঁদের দুই সন্তান রেহান এবং হৃদানের কো-প্যারেন্টিং করেন হৃত্বিক-সুজ়ান। এই মুহূর্তে তিনি সম্পর্কে আছেন গায়িকা-অভিনেত্রী সাবা আজ়াদের সঙ্গে।