Alipurduar Threat News: বাংলাদেশের নম্বর থেকে হুমকিকে এলও-র

Alipurduar Threat News: বাংলাদেশের নম্বর থেকে হুমকিকে এলও-র

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Nov 01, 2023 | 2:57 PM

ফের বাংলাদেশের একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চেয়ে হুমকি কেএলও র।এই ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা পরিবার।এর আগেও পুজোর সময় কেএলও টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি ওই ব্যাবসায়ী কে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিল।তাতে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল।

ফের বাংলাদেশের একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চেয়ে হুমকি কেএলও র।এই ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা পরিবার।এর আগেও পুজোর সময় কেএলও টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি ওই ব্যাবসায়ী কে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিল।তাতে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল।দশদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। যদিও টাকা দেননি ওই ব্যাবসায়ী।তাই ফের ফোন ওই ব্যাবসায়ীকে।রবিবার বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে তাঁকে দুবার ফোন করে টাকার কথা মনে করিয়েছে কেএলও। ঘটনা আলিপুরদুয়ার জেলার অসম বাংলা সীমান্তের নাজিরানদেউতিকাতা এলাকার ব্যাবসায়ী বিনয় দাসকে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠয়েছে কে এলও।

ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলা সংলগ্ন কোচবিহারের নাজিরানদেউতিকাতা এলাকার।চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে।১৪ অক্টোবর পাঠানো চিঠি অবশ্য ওই ব্যাবসায়ী দেখেন ১৮ অক্টোবর।এরপরই তিনি পুলিশের শরনাপন্ন হন।এমনকি বাংলাদেশের নম্বর থেকে হোয়াটসএপেও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কেএলওর টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি নিয়ে এখন আতঙ্কে গোটা পরিবার।গোটা পরিবার এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।ওই ব্যাবসায়ীর মা, স্ত্রী ও এক ছেলে মেয়ে ও প্রতিবন্ধী দাদা রয়েছেন।গোটা পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত।আর বিনয় বাবু ছুটে বেড়াচ্ছেন পুলিশের দোরে দোরে।পুলিশ ব্যাবসায়ী বিনয় দাস কে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। কেএলও আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ছিল কুমারগ্রামের উত্তর হলদিবাড়ি।পাশাপাশি পাশেই কোচবিহারের নাজিরান দেউতিকাতা। কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিং এর বোন সুমিত্রা বর্মন ও ধনঞ্জয় বর্মন এই গ্রামেরই বাসিন্দা। ২০০৩ সালে ভুটানে সেনা অভিযানের পর তারা ধরা পড়েছেন।দীর্ঘদিন জেল খাটার পর তারা মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন।সুমিত্রা এখন পুলিশের হোমগার্ড পদে কাজ করেন।রাজ্য সরকার আত্মসমর্পণ করা অনেক জঙ্গি ও লিংকম্যান কে পুলিশের হোমগার্ড ও সিভিক পদে কাজ দিয়েছে।

২০০৩ সালে ভটানে সেনা অভিযানের পর কে এলওর মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়।কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিং কয়েকজন কে বাংলাদেশে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন কেএল ও র ত্রাস বন্ধ ছিল।ফের পুজোর মুখে ব্যাবসায়ীকে টাকা চেয়ে চিঠি দিয়ে জানান দিল কে এলও।এরপরও হাল ছাড়েনি কেএলও।ওই ব্যাবসায়ীকে প্রতিনিয়ত ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নাম করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে আশা একটি চিঠি ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা সংলগ্ন কোচবিহারের নাজিরান দেউতিকাতা এলাকায়।এমনকি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ওই ব্যবসায়ীর কাছে দশদিনের মধ্যেই সেই টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের যুদ্ধ তহবিলে সেই টাকা জমা দেওয়া না হলে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারকে প্রানে মেরে ফেলার ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। কে এল ও -র নাম করে দশ লক্ষ টাকা দাবির চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন নাজিরান দেওতিখাতা এলাকায়। গোটা ঘটনা জানিয়ে বক্সিরহাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আলিপুরদুয়ারের বারবিশা সংলগ্ন নাজিরান দেওতিখাতা এলাকার বাসিন্দা বিনয় দাস। পেশায় ট্রাক ব্যবসায়ী তিনি। তবে ব্যবসার সূত্রে তাঁকে অসমেও ছুটতে হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যাবসায়ীর মোবাইল ফোনে আসা চিঠিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কামতাপুর ন্যাশনাল আর্মির সিও, ও কালেক্টারের সই রয়েছে।এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী বিনয় দাস বলেন, ‘কে এল ও – র নাম করে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে তার মোবাইল ফোনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে দশ দিনের মধ্যে সেই টাকা দেওয়া না হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে কোথায়, কাকে সেই টাকা দিতে হবে তা কিছু জানায় নি। তাই আতঙ্কিত রয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।’পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।দ্বিতীয়বার রবিবারও দুবার ফোন করে টাকার দাবি করেছে কেএলও।টাকা দিয়ে বিষয় টি মিটিয়ে নিতে বলেছে কেএলও।