Laxmi Pujo 2023: এখানে লক্ষ্মী পুজো হয় ২ দিন পর

Laxmi Pujo 2023: এখানে লক্ষ্মী পুজো হয় ২ দিন পর

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Nov 01, 2023 | 2:22 PM

লক্ষ্মী পুজোর মধ্যে নয় নির্দিষ্ট তিথি মেনে ডাক লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে তপনবাসী। গত সোমবার থেকে পুজো শুরু হয়। তিন দিন ধরে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। আজ শেষ দিন। পুজোকে কেন্দ্র করে বসে বিশাল মেলা।

লক্ষ্মী পুজোর মধ্যে নয় নির্দিষ্ট তিথি মেনে ডাক লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে তপনবাসী। গত সোমবার থেকে পুজো শুরু হয়। তিন দিন ধরে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। আজ শেষ দিন। পুজোকে কেন্দ্র করে বসে বিশাল মেলা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের চকভগীরথ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই ডাক লক্ষ্মী পুজো হয়ে আসছে। চলতি বছরে তা ১০৬ তম বছরে পদার্পণ করল।

কথিত রয়েছে, এলাকার কৃষকদের ধারণা ছিল লক্ষীর নামে ডাক দিয়েই চাষাবাদ শুরু করলে ফসল ভালো হবে। তারপর থেকেই ডাকলক্ষ্মী পুজো করে ফসল ফলানো শুরু করতো এলাকার কৃষকরা। আজ থেকে প্রায় কয়েকশো বছর আগে রাজা জগদীশ নাথ গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো নয়, ডাকলক্ষ্মী পুজো সারম্ভরের সঙ্গে পালন করে তপন থানার ৭ নং রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভোগীরথ গ্রামে। সেই পুজোই এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অবিভক্ত বাংলাদেশে রাজা জগদীশ নাথের জমিদারি আওতায় পড়ত এই অঞ্চল। তিনি এই অঞ্চলের বিষয় সম্পত্তি তদারকি করতে এসে সিদ্ধান্ত নেন, লক্ষ্মী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন। যা ‘ডাকলক্ষ্মী’ নামে পরিচিত।

এই গ্রামের লক্ষ্মী পুজোর বিশেষত্ব হল মা লক্ষ্মীর মূর্তির দুপাশে জয়া ও বিজয়া মূর্তি রয়েছে৷ এরপরেই প্রবীণ ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে গ্রামের মধ্যেস্থলে এনে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এই ডাকলক্ষ্মী দেবীর পুজো শুরু করা হয়। আলাদা করে দুর্গা পুজো বা কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। এই ডাকলক্ষ্মী পুজোকেই তিন দিন ব্যাপি পুজো বানিয়ে গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারা আনন্দে মাতেন।তিনদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও, ঐতিহ্য মেনে পুকুরে হাঁস ধরা খেলা হয়। যা দেখতে পুকুর ধারে ভিড় জমান প্রচুর গ্রামবাসী। পুজোর এই তিনটা দিন প্রত্যেকটি দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক বাড়িতে আত্মীয় স্বজনে পরিপূর্ণ থাকে।এমনকি বিভিন্ন জীবিকার সঙ্গে থাকা সত্বেও বছরের এই তিনটা দিন দূর দূরান্ত থেকে সকলে ছুটে আসে ডাকলক্ষ্মী মায়ের পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে।