Astronaut Sunita Williams in Space: মহাকাশযানে ক্রটি থেকে দুর্ঘটনা, মহাকাশে গিয়ে মহাবিপাকে সুনীতারা

Prantik Deb | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Jul 16, 2024 | 11:36 PM

NASA: গত মাসের ৫ তারিখ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন সুনীতা ইউলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। ১৪ জুন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানে ক্রটি ধরা পড়ায় তাঁদের ফেরা হয়নি। এরপর ঠিক হয়, ২৬ জুন রাতে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা। সেটাও হয়নি। সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।

Follow Us

বেড়াতে যেতে আপনার নিশ্চই ভাল লাগে। বাড়ি থেকে কতদুর বেড়াতে গিয়েছেন? কেউ বলবেন, আমেরিকা, কেউ বলবেন লন্ডন। কিলোমিটারের ফিতে মেপে দিয়ে অনেকেই সব থেকে দূরের ঠিকানা খুঁজে বের করবেন। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সব হিসেব উল্টে পাল্টে দিয়ে পৃথিবীর সীমা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাদেরই একজন সুনীতা ইউলিয়ামস। পৃথিবী থেকে মহাকাশে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি। ১৪ তারিখ পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। বিষয়টা অনকেটা ট্রেন বা বিমান ক্যান্সেল হয়ে যাওয়ার মত হয়েছে বুঝলেন। তবে ট্রেন বা বিমান ক্যান্সেল হলে আমাদের সামনে দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনও উপায় থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রের কোনও উপায় নেই। তাই মহাকাশে গিয়ে মহাবিপাকে সুনীতারা।

গত মাসের ৫ তারিখ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন সুনীতা ইউলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। দিন দশেকের একটা মিশন ছিল সুনীতাদের। কিন্তু একমাস কেটে গেলেও পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতা, বুচের। বারবার দিন বদল হয়েছে। কিন্তু ফেরা হচ্ছে না একাধিক যান্ত্রিক কারণে। দুজনকে ফেরানোর দিনক্ষণ ঠিক করে উঠতে পারছে না মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। মহাকাশযানে একের পর এক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাতেই মহাকাশে আটকে গিয়েছেন সুনীতারা।

১৪ জুন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানে ক্রটি ধরা পড়ায় তাঁদের ফেরা হয়নি। এরপর ঠিক হয়, ২৬ জুন রাতে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা। সেটাও হয়নি। সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনও গাফিলতি হয়েছে নাকি? গাফিলতির অভিযোগ তুলে নাসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন দুই হুইসলব্লোয়ার।

মহাকাশে মুহূর্তে গন্ডগোলে কী হতে পারেন, সেটা নিশ্চয় নাসার থেকে ভাল কেউ জানে না। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মহাকাশ অভিযান শেষ করে স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় চেপে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল কল্পনা চাওলা ও তাঁর সঙ্গীরা। ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মাটি ছোঁয়ার ১৬ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে কলম্বিয়া। মৃত্যু হয় কল্পনা সহ বাকি নভোশ্চরদের। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে, কলম্বিয়া মহাকাশযানের ত্রুটির কথা। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, মহাকাশ অভিযানে খুব ছোট্ট পর্যবেক্ষণকেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই ২০২৪ সালে এসে সেই ইতিহাস, সেই শিক্ষা কী ভুলে গেল নাসা?

মহাকাশে গবেষণা চলছে। অনেক অনকে কিছু নিয়ে গবেষণা। নিত্যদিন কোনও না কোনও দেশ রকেট পাঠাচ্ছে অজানাকে আরও জানার চেষ্টায়। অনেকেই বলেন, মহাকাশের দখল নিয়েও নাকি লড়াই শুরু হয়েছে গেছে। স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটি যদি সুনীতাদের পৃথবীতে ফেরার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে দ্বিতীয় একটা কারণও আছে। সেটা মহাকাশে ঘটা একটা দুর্ঘটনা।

সাধারণত কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযানের বিচ্ছিন্ন অংশ কর্মক্ষমতা হারালে তা স্থায়ীভাবে থেকে যায় মহাশূন্যেই। নির্দিষ্ট কক্ষপথ ছাড়াই ভেসে বেড়ায় মহাকাশে। এই বাতিল জিনিসগুলোর মধ্যে ধাক্কাও লাগে। ঘটনাচক্রে এই ধাক্কা ইদানিং এতটাই বেড়ে গেছে যে বিজ্ঞানীদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। সহজভাবে বলা যায় মহাকাশে এখন জোড়া বিপদের রেড অ্যালার্ট। প্রথম বিপদ, ঘনঘন স্যাটেলাইট পাঠানো। দ্বিতীয় বিপদ, মহাকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।

এই সমস্যার সমাধান করতে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। তারা বলেছিল, মহাজাগতিক বর্জ্যকে নিরাপদ দুরত্বে ঠেলে দেবে বিশেষভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার একটি বিকল উপগ্রহের ওপরেই সেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে রসকসমস। তবে হিতে বিপরীত হয়। মিসাইলের আঘাতে শূন্যে ভেসে থাকা উপগ্রহটি টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা মহাকাশে।

বেড়াতে যেতে আপনার নিশ্চই ভাল লাগে। বাড়ি থেকে কতদুর বেড়াতে গিয়েছেন? কেউ বলবেন, আমেরিকা, কেউ বলবেন লন্ডন। কিলোমিটারের ফিতে মেপে দিয়ে অনেকেই সব থেকে দূরের ঠিকানা খুঁজে বের করবেন। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সব হিসেব উল্টে পাল্টে দিয়ে পৃথিবীর সীমা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাদেরই একজন সুনীতা ইউলিয়ামস। পৃথিবী থেকে মহাকাশে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি। ১৪ তারিখ পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। বিষয়টা অনকেটা ট্রেন বা বিমান ক্যান্সেল হয়ে যাওয়ার মত হয়েছে বুঝলেন। তবে ট্রেন বা বিমান ক্যান্সেল হলে আমাদের সামনে দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনও উপায় থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রের কোনও উপায় নেই। তাই মহাকাশে গিয়ে মহাবিপাকে সুনীতারা।

গত মাসের ৫ তারিখ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন সুনীতা ইউলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। দিন দশেকের একটা মিশন ছিল সুনীতাদের। কিন্তু একমাস কেটে গেলেও পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতা, বুচের। বারবার দিন বদল হয়েছে। কিন্তু ফেরা হচ্ছে না একাধিক যান্ত্রিক কারণে। দুজনকে ফেরানোর দিনক্ষণ ঠিক করে উঠতে পারছে না মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। মহাকাশযানে একের পর এক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাতেই মহাকাশে আটকে গিয়েছেন সুনীতারা।

১৪ জুন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানে ক্রটি ধরা পড়ায় তাঁদের ফেরা হয়নি। এরপর ঠিক হয়, ২৬ জুন রাতে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা। সেটাও হয়নি। সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনও গাফিলতি হয়েছে নাকি? গাফিলতির অভিযোগ তুলে নাসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন দুই হুইসলব্লোয়ার।

মহাকাশে মুহূর্তে গন্ডগোলে কী হতে পারেন, সেটা নিশ্চয় নাসার থেকে ভাল কেউ জানে না। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মহাকাশ অভিযান শেষ করে স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় চেপে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল কল্পনা চাওলা ও তাঁর সঙ্গীরা। ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মাটি ছোঁয়ার ১৬ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে কলম্বিয়া। মৃত্যু হয় কল্পনা সহ বাকি নভোশ্চরদের। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে, কলম্বিয়া মহাকাশযানের ত্রুটির কথা। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, মহাকাশ অভিযানে খুব ছোট্ট পর্যবেক্ষণকেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই ২০২৪ সালে এসে সেই ইতিহাস, সেই শিক্ষা কী ভুলে গেল নাসা?

মহাকাশে গবেষণা চলছে। অনেক অনকে কিছু নিয়ে গবেষণা। নিত্যদিন কোনও না কোনও দেশ রকেট পাঠাচ্ছে অজানাকে আরও জানার চেষ্টায়। অনেকেই বলেন, মহাকাশের দখল নিয়েও নাকি লড়াই শুরু হয়েছে গেছে। স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটি যদি সুনীতাদের পৃথবীতে ফেরার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে দ্বিতীয় একটা কারণও আছে। সেটা মহাকাশে ঘটা একটা দুর্ঘটনা।

সাধারণত কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযানের বিচ্ছিন্ন অংশ কর্মক্ষমতা হারালে তা স্থায়ীভাবে থেকে যায় মহাশূন্যেই। নির্দিষ্ট কক্ষপথ ছাড়াই ভেসে বেড়ায় মহাকাশে। এই বাতিল জিনিসগুলোর মধ্যে ধাক্কাও লাগে। ঘটনাচক্রে এই ধাক্কা ইদানিং এতটাই বেড়ে গেছে যে বিজ্ঞানীদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। সহজভাবে বলা যায় মহাকাশে এখন জোড়া বিপদের রেড অ্যালার্ট। প্রথম বিপদ, ঘনঘন স্যাটেলাইট পাঠানো। দ্বিতীয় বিপদ, মহাকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।

এই সমস্যার সমাধান করতে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। তারা বলেছিল, মহাজাগতিক বর্জ্যকে নিরাপদ দুরত্বে ঠেলে দেবে বিশেষভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার একটি বিকল উপগ্রহের ওপরেই সেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে রসকসমস। তবে হিতে বিপরীত হয়। মিসাইলের আঘাতে শূন্যে ভেসে থাকা উপগ্রহটি টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা মহাকাশে।

Next Video