AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat News: নাক ঢেকে ঢুকতে হয় হাসপাতালে

Balurghat News: নাক ঢেকে ঢুকতে হয় হাসপাতালে

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Sep 29, 2023 | 7:34 PM

Share

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের নোংরা আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে না। যার ফলে জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। আর সেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চিকিৎসা করতে আসা রোগী থেকে তাদের পরিজন ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের নোংরা আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে না। যার ফলে জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। আর সেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চিকিৎসা করতে আসা রোগী থেকে তাদের পরিজন ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। হাসপাতাল সুপারের অফিস বা অন্য বিভাগে যেতে নাকের রুমাল চেপে যাতায়াত করতে হচ্ছে সকলকে। হাসপাতালের নোংরা নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ার ফলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলেই অভিযোগ হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষদের।

যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাতে সব নোংরা নিয়মিত পরিষ্কার নিয়মিত করা হয় তার জন্য বলা হবে বলে হাসপাতালে সুপার জানিয়েছেন।বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার অফিস যাওয়ার আগেই রয়েছে জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ করার ঘর। রোজকার হাসপাতালে যাবতীয় নোংরা নিয়ে এসে সংরক্ষণ করা হয় এই ঘরেই। শুধুমাত্র জেলা হাসপাতাল নয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নোংরা আবর্জনা এই ঘরেই সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিকের করে সব নোংরা রাখা হয়৷ নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি করে সেই নোংরা নিয়ে চলে যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরা। হাসপাতালে জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘরের পাশেই রয়েছে পুলিশ মর্গ। এমনকি এই রাস্তাতেই রয়েছে হাসপাতাল সুপারের অফিস থেকে অন্যান্য চিকিৎসা বিভাগ। রোজদিন বিভিন্ন পরিষেবা নিতে এই চত্বরে আসেন শতাধিক মানুষ। হাসপাতালের জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে প্রতিনিয়ত নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করার কথা৷ এর জন্য নির্দিষ্ট সংস্থা রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিদিন এই নোংরা আবর্জনা হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলেই অভিযোগ। কখন সাত দিন আবার কখন দশদিন পর নোংরা জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে সংগ্রহ করা হয়। নিয়মিত নোংরা আবর্জনা পরিস্কার না করার ফলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে৷ ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। যারা প্রয়োজনে যাতায়াত করছেন তারা নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করছেন। প্রতিনিয়ত পরিস্কার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলেই অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল আসা টেপু উরাও বলেন, হাসপাতালে মর্গে আত্মীয়র ময়নাতদন্তের হচ্ছে। সেই কারণে এসেছি। কিন্তু মর্গের ভেতরে যেতে পারছি না। জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে এত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করলাম৷ বাকিরাও একই ভাবে রুমাল চেপে যাতায়াত করছে। এই ঘরটি রোজ পরিস্কার করা দরকার। এবিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা তরুন উরাও বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম রোজ দিন এই ঘর থেকে নোংরা পরিস্কার করা হয় না৷ প্রতিনিয়ত নোংরা নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যার ফলে সেই নোংরা আবর্জনা থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে আসলেও এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেকেই অসুস্থ হতে পারেই বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, একটি নির্দিষ্ট সংস্থা রয়েছে। যারা নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করে। বৃষ্টির জন্য হয়তো কয়েকদিন তারা নোংরা সংগ্রহ করতে পারেনি৷ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানানো হবে। যাতে প্রতিনিয়ত নোংরা পরিস্কার করে৷