AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Aynaghar: আয়নাঘরের রহস্য, ২৬ কুঠুরির গল্প

Bangladesh Aynaghar: আয়নাঘরের রহস্য, ২৬ কুঠুরির গল্প

আসাদ মল্লিক

|

Updated on: Aug 08, 2024 | 10:42 PM

Share

Secret Prison: বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল বলছে, যিনি যখন ক্ষমতায় এসেছেন, তিনিই গুমঘরের মতো জেল তৈরি করেছেন। আর সেখানে পুরে দিয়েছেন বিরোধীদের। খবরগুলো দেখে আরও দুটো কুখ্যাত জেলের কথা মনে পড়ে গেল। গুয়ানতানামো বে। কিউবার কাছে সমুদ্রের মধ্যে মার্কিন সেনার জেল। নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকার তত্‍কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের অর্ডারে যে জেলে বিনা বিচারে যাকে যতদিন খুশি আটকে রাখা যায়।

একটা জেলখানার কথা বলব। যার কথা অনেকেই জানতেন। কিন্তু, সেটা ঠিক কেমন, সেখানে কীভাবে বন্দিদের রাখা হয়, তা অধিকাংশ মানুষেরই জানা ছিল না। নাম তার আয়নাঘর। যা আসলে বাংলাদেশের কোট-আনকোট গুমঘর। কুখ্যাত অপরাধী, রাজনৈতিক বিরোধীদের বিনা বিচারে আটকে রাখার জায়গা। নতুন-পুরনো মিলিয়ে ছাব্বিশটা কুঠুরি। আয়নাঘরে দিনে দু-বার সূর্যের আলো ঢুকতে দেওয়া হতো। বাকি সময়টা অন্ধকার। ঘরের শব্দ বাইরে যেতে পারে না। ঘরের এগজস্ট ফ্যানগুলো দিনে একবার বন্ধ করা হতো। তখনই নাকি ভেসে আসত কান্না আর চিত্‍কারের শব্দ। বাংলাদেশে সরকার এসেছে-গিয়েছে। সেনাশাসনও চলেছে। বন্দিদের গুমঘরে চালান করার ট্রেন্ড পাল্টায়নি। আগে ছিল মানমহল। হাসিনার আমলে সেটা বন্ধ করে তৈরি হয় আয়নাঘর। বুধবার আয়নাঘর থেকে ৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ১ জন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এখনও দেড়শো জনের মতো সেখানে বন্দি আছেন বলে তাঁর ধারণা। শেখ হাসিনার পতনের পর যতটুকু জানা যাচ্ছে, গত ১৩ বছরে ৬০০ জনকে আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। অনেকে সেখানেই মারা গেছেন। কমবেশি ৪০০ জন হয় বাড়ি ফিরেছেন নয়তো অন্য জেলে চালান হয়েছেন। কুখ্যাত অপরাধী, জঙ্গি ও জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তদের রাখতেই আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল।

তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল বলছে, যিনি যখন ক্ষমতায় এসেছেন, তিনিই গুমঘরের মতো জেল তৈরি করেছেন। আর সেখানে পুরে দিয়েছেন বিরোধীদের। খবরগুলো দেখে আরও দুটো কুখ্যাত জেলের কথা মনে পড়ে গেল। গুয়ানতানামো বে। কিউবার কাছে সমুদ্রের মধ্যে মার্কিন সেনার জেল। নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকার তত্‍কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের অর্ডারে যে জেলে বিনা বিচারে যাকে যতদিন খুশি আটকে রাখা যায়। বারাক ওবামা জেলখানা বন্ধের অর্ডারে সই করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে তা বাতিল করে দেন। বলেন, জেল বন্ধ হবে না। বরং বেয়াদপ যারা তাদের এখানেই ঢোকাতে হবে। পরের জন জো বাইডেন ফের জেল বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। তিনি এখনও প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর সে নির্দেশ বাজে কাগজের ঝুড়িতে চলে গিয়েছে। এই জেলখানার এতটাই ক্ষমতা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিচারে দুনিয়ার কুখ্যাত জেলখানাগুলোর মধ্যে এক নম্বরে গুয়ানতানামো বে। মার্কিন সেনার হাতে গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর হেড কোয়ার্টার। আর বলতেই হয়, ইরাকের আবু ঘ্রাইবের কথা। প্রথমে সাদ্দাম হুসেন আর তারপর মার্কিন সেনার হাতে তৈরি হয়েছিল এই নরক। অনেকেই বলেন, এই দুটো জেলই নাজি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের রেপ্লিকা। আবু ঘ্রাইবে তালা পড়েছে। গুয়ানতানামো বে এখনও স্বমহিমায়। বাংলাদেশে আয়নাঘরের কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল।