বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের দোতলায় জানালার উপরে সংকীর্ণ কার্নিস। আর তাতেই কোনোভাবে চেপে বসেছিলেন বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের রাধানাথপুর গ্রামের যুবক খোকন সর্দার। উঁচু ও অত্যন্ত সংকীর্ণ ওই কার্নিসে কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পরিজনরা কাছে গিয়ে দেখেন ওই ব্যাক্তি কখনো কার্নিসে শুয়ে পড়ছেন তো আবার কখনো বসে থাকছেন। রোগীর পরিজনরা তাঁকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ উপরোধ করলে উল্টে কার্নিস থেকে তাঁদেরই শাসাতে শুরু করেন ওই ব্যাক্তি। যে কোনো সময় ওই যুবক পড়ে গেলে বিপদ হতে পারে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় দমকলকে খবর দিলে দমকল কর্মীরা ল্যাডার নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর বিশেষ কায়দায় হাসপাতালের গায়ে ল্যাডার লাগিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন দমকল কর্মীরা। যুবককে কার্নিসে দেখার পর থেকে তাঁকে নামিয়ে আনা পর্যন্ত মাঝের এক ঘন্টা সময় কার্যত রুদ্ধশ্বাস কাটে রোগীর পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। উদ্ধারের পর যুবকের বক্তব্য তাঁর স্ত্রী হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে তাঁকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ভর্তি থাকা স্ত্রীকে দেখার জন্যই কার্নিসে চড়ে বসেছিলেন তিনি। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। শেষ পর্যন্ত যুবককে সুস্থ অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হওয়ায় খুশি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজন থেকে স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই।