Bankura Hospital: ভিডিয়ো: হাসপাতালের রান্নাঘরে আগুন, তিন তলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ রাঁধুনির, সহকর্মীরা লুফে নিলেন
Bankura Hospital: হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রান্নাঘরে কোনওভাবে আগুন লাগে। ওই রান্নাঘরেই পাশেই একটি ঘরে থাকেন রাঁধুনি, তিনি ওই হাসপাতালেরই কর্মী।
বাঁকুড়া: হাসপাতালের তিন তলায় রান্নাঘরে আগুন লেগেছে। বুঝতে পেরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের এক কর্মী। বাঁচতে তিনতলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিলেন মহিলা। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের নীচে অপেক্ষারত অন্যান্য কর্মীরা কার্যত লুফে নিয়েছেন তাঁকে। গোটা বিষয়টি মোবাইলবন্দি করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের তিন তলায় রান্নাঘর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রান্নাঘরে কোনওভাবে আগুন লাগে। ওই রান্নাঘরেই পাশেই একটি ঘরে থাকেন রাঁধুনি, তিনি ওই হাসপাতালেরই কর্মী।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দুধ সাদা ভবনের তিন তলার কার্নিশ ধরে ঝুলছেন এক মহিলা। তিনি শাড়ি পরিহিত। নীচে দাঁড়িয়ে বেশ অনেকেই। কয়েকটি গাড়িও দাঁড় করানো। মহিলা বাঁ হাত দিয়ে ধরে কার্নিশ। ডান হাত ঝুলছে। একবার নীচে তাকাচ্ছেন তিনি, আরেকবার ওপরের দিক। কিছুদিন আগেই কলকাতার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে এরকম এক রোগীকে মারণ ঝাঁপ দিতে দেখা গিয়েছিল। এটা সেরকম কিছু ঘটনা নয়তো? সাময়িকভাবে সে প্রশ্ন মনে আসবেই। কিন্তু এই মহিলা আগুন আতঙ্কে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন। এবং কপাল জোরে বেঁচেও গিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের কর্মীরা কার্যত তাঁকে হাত পেতে লুফে নিয়েছেন!
রান্নাঘরের পাশেই সিঁড়ি। ঘর থেকে সিঁড়িতে আসতে গেলে সেই রান্নাঘরের সামনে দিয়েই আসতে হয়। কিন্তু আগুনে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি, যে আর সিঁড়িতে আসতে পারেননি। বরং বারান্দার কার্নিশ বেয়ে তিন নীচে নামার চেষ্টা করেন। কার্নিশ ধরে ঝুলতে থাকেন তিনি।
তাঁর চিৎকারে অবশ্য হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা নীচে জড়ো হয়ে যান। বাকি কর্মীরা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ওই মহিলা কর্মী তখনও কার্নিশ ধরেই ঝুলছিলেন। পরে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা সহকর্মীদের দেখে সুযোগ বুঝে ঝাঁপ দেন তিনি। কপাল জোরে তাঁকে লুফে নেন অন্যান্য কর্মীরাও। তাঁর শরীরে কোনও ক্ষত তৈরি হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। তবে তিনি যথেষ্টই আতঙ্কিত রয়েছেন।
এদিকে, হাসপাতালে কী থেকে আগুন লেগেছে, তা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।