Nuclear Weapons: পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার বিবৃতি এনেছিল চিন, আর নিজেরাই তা অমান্য করছে!

আমেরিকা-রাশিয়া সহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। দেখা যাচ্ছে সবার হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। আর তলায় তলায় নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াতে বাড়তে একেবারে বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে গেছে চিন।

Nuclear Weapons: পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার বিবৃতি এনেছিল চিন, আর নিজেরাই তা অমান্য করছে!
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2024 | 6:08 AM

২০১৯ সালে জেনিভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বার্ষিক সম্মেলনে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছিল একটি বিবৃতি। প্রস্তাব এনেছিল চিন। বলা হয় যে পরমাণু বোমা দুনিয়ার সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। কারও পক্ষেই পরমাণু যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাই পরমাণু যুদ্ধের ভাবনা ও প্রস্তুতি। দুটোরই পাট চুকিয়ে ফেলতে হবে। প্রস্তাবে সই করে আমেরিকা-রাশিয়া সহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ। সেই প্রস্তাব মানলে এতদিনে তো ওই পাঁচ দেশের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। দেখা যাচ্ছে সবার হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। আর তলায় তলায় নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াতে বাড়তে একেবারে বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে গেছে চিন। দ্য স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট বলছে গত ৩-৪ বছরে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বেড়েছে বেজিংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার। গত কয়েক বছরে ৯টি দেশ তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন অস্ত্র যোগ করেছে। এর মধ্যে অন্তত ৮৬টি একেবারে নতুন। সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলি তৈরি করা হয়েছে। আর ৮৬টি নতুন অস্ত্রের মধ্যে ৬০টিই চিনের।

গত ২১শে জানুয়ারি প্রাথমিকভাবে ৭ হাজার নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল শি জিনপিং প্রশাসন। তারপর আরও ১০ হাজার বহুতল ভাঙার নির্দেশ জারি হয়েছে। এর বড় অংশই সরকারের টাকায় তৈরি। তাই ক্ষতি যা হওয়ায় সরকারের হবে। কিন্তু টাকা খরচ করে বহুতল তৈরির পর কেন তা ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আসলে চিনকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে এটা একটা মরিয়া প্রচেষ্টা বলতে পারেন। ২০২৪-র আজকের দিনে চিনা অর্থনীতি পুরোপুরি ডিফ্লেশনে ঢুকে পড়েছে। মুশকিল হল, চিন নিজেদের এই সঙ্কট এবার দুনিয়ার অন্যদেশে রফতানি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে চিন যে নিজেদের ডিফ্লেশন অন্য দেশে রফতানি করছে। সেটা চেষ্টা করেও লুকোতে পারল না তারা। ফ্রাঙ্কফুট গ্লোবাল ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্টে জানা গেছে চিন রফতানি করা জিনিসের দাম কমাতে শুরু করেছে। ফলে রফতানি বাজারে ডামাডোল তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

এন্টেমেলজিক্যাল ওয়ার ব্যাপারটা কী? প্রতিপক্ষকে নিকেশ করতে বা যুদ্ধের সময়ে পোকা-মাকড়কে ব্যবহার করার এ কৌশল কয়েকশো বছর ধরেই চলে আসছে। এভাবে পোকামাকড় ও তাদের বিষকে যুদ্ধের হাতিয়ার করাকে জৈব যুদ্ধ বলেও দাবি করে অনেক দেশ। এই জৈব যুদ্ধ যাকে ট্যাকটিক্যাল ওয়ারও বলা হয়। তার পরিণতি কিন্তু মারাত্মক। যাঁরা এটা বুঝেছেন তাঁদের মধ্যে কিছু রাষ্ট্রপ্রধান ও পলিসি মেকাররাও আছেন। তাই দুনিয়াজুড়ে এটা বন্ধ করার একটা উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে। দেখুন যুদ্ধের মধ্যেই বারেবারে মহামারি হানা দিয়েছে। হাজারে হাজারে গ্রাম-শহর উজাড় হয়ে গেছে। যুদ্ধ যে ক্ষতি করতে পারেনি। মহামারি অনেকক্ষেত্রে সেই ক্ষতিই করেছে। সেটা সেই স্পার্টা-এথেন্সের আমলে। মানে আড়াই হাজার বছর আগে হয়েছে। আবার ১৯১৮ সালেও হয়েছে। আজ এই ২০২৪ সালেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুদ্ধের সময় জীবাণু হামলার আশঙ্কা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর তা হলে কী হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাছির দলকে ব্যবহার করে প্লেগ ছড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। এই পরিকল্পনা খেটে গেলে গোটা এশিয়া ও ইউরোপ উজাড় হয়ে যেত।

Follow Us: