AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi, Xi Jinping: গালওয়ান সংঘর্ষের পর মোদীর প্রথম চিন সফর, জিনপিং-এর গোপন চিঠি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

Modi, Xi Jinping: গালওয়ান সংঘর্ষের পর মোদীর প্রথম চিন সফর, জিনপিং-এর গোপন চিঠি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Updated on: Sep 01, 2025 | 9:38 PM

Share

শনিবার বিকেল চারটেয় চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গালওয়ান সংঘর্ষের পর এটাই তাঁর প্রথম চিন সফর। সাত বছর পর এসসিও (SCO) বৈঠকে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন তিনি। আগামী দুদিনের সম্মেলনের ফাঁকে অন্তত দু’বার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে মোদীর। মুখোমুখি বৈঠকও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই বৈঠকে যোগ […]

শনিবার বিকেল চারটেয় চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গালওয়ান সংঘর্ষের পর এটাই তাঁর প্রথম চিন সফর। সাত বছর পর এসসিও (SCO) বৈঠকে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন তিনি। আগামী দুদিনের সম্মেলনের ফাঁকে অন্তত দু’বার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে মোদীর। মুখোমুখি বৈঠকও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। ফলে গোটা বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

এই সফরের ঠিক আগে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে সেই চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন দিল্লিতে চিনা দূতাবাসের এক কর্তা। যদিও চিঠির পূর্ণাঙ্গ বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আসেনি, মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গের দাবি, সেই চিঠিতে তিনটি প্রস্তাব রেখেছিলেন শি জিনপিং।
প্রথমত, ভারত যেন আমেরিকার প্ররোচনায় এমন কোনও চুক্তি না করে যাতে বেজিংয়ের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দ্বিতীয়ত, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারত-চিন যৌথ কর্মী দল (জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ) গঠন করা হোক।
তৃতীয়ত, দুই দেশের মধ্যে বিতর্কিত ইস্যুগুলির স্থায়ী সমাধান খোঁজা দরকার।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের এই চিঠির গুরুত্ব আরও বেড়েছে। একই সময়ে আমেরিকাতেই চলছে ইউএস-চায়না ট্রেড ডিল নিয়ে দরকষাকষি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুটি শর্তে সম্মতি মিললেই সেই বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। তখন আন্তর্জাতিক সমীকরণ নতুন মোড় নিতে পারে। তিয়ানজিনে যখন ভারত-চিন-রাশিয়ার সম্ভাব্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, কূটনীতিক মহলের মতে, এটা এখনও স্থায়ী জোটে পরিণত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নয়। তিন দেশের স্বার্থ ও কৌশলগত অবস্থান ভিন্ন। ভারতের জন্য মূল ইস্যু রয়ে গিয়েছে সীমান্ত সংঘাত। গালওয়ান পর্বের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন অব্যাহত, আর সেটা কোনও বৈঠকেই সহজে বদলানো সম্ভব নয়।

আরও জানা গিয়েছে, চিন সফরে গেলেও দেশটির ‘ভিকট্রি প্যারেড’-এ যোগ দিচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, কৌশলগত কারণেই ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী। ফলে চোখ এখন তিয়ানজিনে— মোদী, পুতিন ও শি জিনপিং মুখোমুখি বসলে কী আলোচনা হয়, সেটাই দেখার।