Coronavirus: কোভিশিল্ডে সাইড এফেক্ট! করোনা থেকে বাঁচলেও অন্য বিপদের উঁকি?
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব আবার ছন্দে ফিরেছে। হঠাত্ করেই একটা খবর গোটা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে। কোভিশিল্ডের সাইড এফেক্ট। নিজেরাই স্বীকার করেছে টিকা প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আদালতে অ্যাস্ট্রোজেনেকা জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের ফলে, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের সম্ভাবনা আছে।
বছর আড়াই তিন আগের কথা। করোনার জ্বালায় জ্বলছিল গোটা বিশ্ব। দিকে দিকে হাহাকার, মৃত্যুমিছিল। আপনজনকে হারানোর হাহাকার ছড়িয়ে পরেছিল বিশ্বের কোনায় কোনায়। এমন সময় একটা ভ্যাকসিন বিশল্যকরণী হয়ে আমাদের সামনে এল। অক্সফোর্ডের গবেষকদের সাহায্যে কোভিডের প্রতিশেধক তৈরি করে ওষুধ প্রস্তুকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। নাম কোভিশিল্ড। থমথমে বিশ্বে একমুঠো স্বস্তির হাওয়া নিয়ে এসেছিল এই টিকা। করোনা থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে ছড়িয়ে পরে কোভিশিল্ড। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে ব্যপক ভাবে উত্পাদন ও বন্টন শুরু হয়। তারপর কী কী হয়েছে আমরা সবাই জানি। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব আবার ছন্দে ফিরেছে। সব ঠিক ঠাকই চলছিল। হঠাত্ করেই একটা খবর গোটা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে। কোভিশিল্ডের সাইড এফেক্ট। নিজেরাই স্বীকার করেছে টিকা প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
বিতর্কটা অবশ্য এখন নয় শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু গোটা বিশ্বে এ নিয়ে সেভাবে কথা হচ্ছিল না। ২০২১ সালে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পরেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর আরও কিছু মানুষের অসুস্থ হওয়ার খবর সমানে আসে।
এখন প্রশ্ন কী ধরণের সাইড এফেক্ট? আদালতে অ্যাস্ট্রোজেনেকা জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের ফলে, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের সম্ভাবনা আছে। থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস আসলে একটা বিরল রোগ। গোটা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আদালতে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন গোটা বিশ্বে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে কোভিডের সময়। তাদের আরও দাবি, ভ্যাকসিন নিলেই কেউ টিটিএস রোগে আক্রান্ত হবেন এমন কোনও কথা নেই। সাইড এফেক্ট হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও নাকি খুব কম। এখন প্রশ্ন, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম আক্রান্ত হলে কী হতে পারে? শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে। শরীরে কমতে শুরু করে প্লেটলেটের মাত্রা। আশঙ্কা আছে, ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের।
রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদেরই এই রোগ হবে? নাকি এই রোগ ব্যতিক্রম? ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এদেশের জনসংখ্যার নিরিখে যা বিরাট একটা সংখ্যা। আমাদের দেশে এখনও ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্টের কোনও তথ্য সামনে আসেনি। ভবিষ্যতে কী এমন কোনও উদাহরণ সামনে আসতে পারে?
করোনার বিরুদ্ধে একটা দীর্ঘ লড়াই করে জিততে হয়েছে আমাদের। করোনাবিধির পাশাপাশি ভ্যাকসিন এই যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার ছিল। কিন্তু এতদিন পরে এসে সেই ভ্যাকসিন কী বুমেরাং হয়ে উঠছে নাকি। চিকিত্সকরা বলছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। চিকিত্সকদের কথায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জন্যই শুধুমাত্র টিটিএস হচ্ছে এমনটা ভাবার কারণ নেই। ইংল্যান্ডে যা হয়েছে সেটা ব্যাতিক্রম।