Rafale Controversy: মুখ পুড়ল পাকিস্তানের! রাফাল ধ্বংসের জল্পনায় জল ঢালল খোদ নির্মাতা সংস্থা
অপারেশন সিদুঁরের সময় রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে হাজারটা জল্পনা হল। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল ধ্বংস করেছিল তাঁরা। ভারত সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানও রাফাল ধ্বংস নিয়ে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তা হলে সত্যিটা কী? রাফালের নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এরিক ট্র্যাপিয়র জানালেন, অপারেশন সিদুঁর শুরুর পর, ৭ মে রাতে রাফাল […]
অপারেশন সিদুঁরের সময় রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে হাজারটা জল্পনা হল। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল ধ্বংস করেছিল তাঁরা। ভারত সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানও রাফাল ধ্বংস নিয়ে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তা হলে সত্যিটা কী? রাফালের নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এরিক ট্র্যাপিয়র জানালেন, অপারেশন সিদুঁর শুরুর পর, ৭ মে রাতে রাফাল ধ্বংস হয়েছিল। অবশ্যই হয়েছিল। তবে একটাই। দুটো বা তিনটে নয়। সেদিন একটাই রাফাল ভেঙে পড়েছিল। তাও মিসাইল বা অন্য কোনও আঘাতে নয়। অনেকটা উঁচুতে ওঠার পর ওই যুদ্ধবিমানে কিছু ক্রটি ধরা পড়ে। পাইলট ওই পরিস্থিতিতে বেশিক্ষণ আকাশে থাকার ঝুঁকি নেননি। দাসো চেয়ারম্যানের কথায় স্পষ্ট, যান্ত্রিক সমস্যায় ৭ মে রাতে রাফাল ভেঙে পড়েছিল।
কিন্তু রাফালের মতো অত্যাধুনিক, নতুন যুদ্ধবিমানে যান্ত্রিক সমস্যা হবে কেন? ট্র্যাপিয়ার বলছেন, যুদ্ধবিমান নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি উপরে উঠে গেলে এমনটা হতে পারে। এক্ষেত্রে কী হয়েছিল? কী ধরণের যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছিল, তা সংস্থা খতিয়ে দেখছে। আমরা এনিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন কি হতে পারে যে ওইদিন একাধিক রাফাল ভেঙে পড়েছিল? ট্র্যাপিয়ার বলেছেন, আমি নিশ্চিত করছি, একটাই রাফাল ভেঙে পড়েছিল। একটা মানে একটাই। যু্দ্ধবিমান সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পত্রিকা অ্যভিয়ন ডি চসে’র প্রতিবেদনে দাবি, ৭ মে রাতে অপারেশনে সিঁদুরের সময় মাটি থেকে ১১ হাজার ফুট উপরে একটি রাফাল উড়ছিল। কিন্তু সেটা ছিল ট্রেনিং জেট। ওই বিমান থেকে মিসাইল বা অন্য কোনওভাবে হামলা হয়নি। ১১ হাজার ফুট উপরে চক্কর মারার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই এলাকা শক্রর রাডারের বাইরে ছিল। তাই মিসাইল হামলায় রাফাল ধ্বংসের প্রশ্নই উঠছে না। অ্যভিয়ন ডি চসে’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাল শুধু একটা যুদ্ধবিমান নয়। ফ্রান্সের সামরিক উত্কর্ষতার প্রতীক। তাই এই দুর্ঘটনা কেন ঘটল, দাসো অ্যাভিয়েশনকেই সেটা বের করতে হবে।
অপারেশন সিদুঁরে আমাদের বায়ুসেনা যে যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, সেটা কিন্তু ভারত কখনই অস্বীকার করেনি। এনিয়ে প্রশ্নের মুখে এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি হবেই। আমাদের সব পাইলট নিরাপদে ফিরেছেন এবং সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। পরে খোদ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহানও মেনে নেন, ভারত যুদ্ধবিমান হারালেও আমরা নিজেদের লক্ষ্যপূরণ করেছিলাম। জেনারেল চৌহানও সাফ বলেছিলেন, তিনটি রাফাল সহ ৬টি যুদ্ধবিমান হারানো নিয়ে পাকিস্তানের দাবি পুরোপুরি মিথ্যে। রাফালের নির্মাতা রাফো অ্যাভিয়েশন এতদিন এনিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। এই সুযোগে যুদ্ধবিমানের বাজার দখলে বিভিন্ন দেশের কাছে দরবার করতে শুরু করে চিন। যে সব দেশ রাফাল কেনার কথা ভেবেছিল, তাদের রাফালের পরিবর্তে চিনের তৈরি জেএফ-সেভেন্টিন যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন ওই দেশে চিনের ডিফেন্স অ্যাটাশেরা। রাফাল বা দাসো অ্যাভিয়েশনের কাছে এটা মোটেও স্বস্তির কথা নয়। সেটা বুঝেই কী অবস্থান স্পষ্ট করতে নামল রাফালের নির্মাতা সংস্থা? সম্ভবত সেটাই কারণ।
ভারত এখনও এব্যাপারে মুখ খোলেনি। দাসো মুখ খোলায় এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানের তিনটে রাফাল ধ্বংসের দাবি আসলে বড়সড় একটা ঢপ। ১২ হাজার ফুট উপরে কীভাবে যান্ত্রিক গলযোগে রাফাল ভেঙে পড়তে পারে, তা নিয়ে দাসো অ্যাভিয়েশনের কৈফেয়ত্ চাওয়া উচিত। দু হাজার দুশো কোটি টাকা দিয়ে এক-একটা যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে। ২০২১ সালে কেনা যুদ্ধবিমান এভাবে ভেঙে পড়বে কেন? তা ব্যাখ্যা ওই সংস্থাকেই দিতে হবে। এবং প্রয়োজনে দাসোর থেকে ক্ষতিপূরণও চাওয়া উচিত সেনা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। রাফাল নিয়ে সংশয় মেটানোর পাশাপাশি আরও একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। অপারেশন সিদুঁরে ব্রহ্মসের আঘাত পাকিস্তান বহুদিন ভুলতে পারবে না। ওগুলো ছিল পুরনো আমলের ব্রহ্মস। ওর থেকে আরও শক্তিশালী, আরও বিধ্বংসী ব্রহ্মসও ভারতের হাতে এল বলে।
লোকে মেসিকে দেখতে গিয়েছিল, মেসির এক মাসিকে দেখে ফিরে এসেছে: সজল
'উপমুখ্যমন্ত্রী হবে হুমায়ুন...', ভোটের আগেই 'ফলাফল ঘোষণা' সজলের
খসড়া তালিকায় নাম আছে কি না, ওয়েবসাইটে খুঁজে না পেলে কীভাবে জানবেন
অপেক্ষা শুধু আজ রাতের, মঙ্গলেই দেখতে পাবেন আপনার নাম তালিকায় উঠল কি না

