AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dooars Wood Smuggling: গাছ' শূন্য' হচ্ছে অরণ্য

Dooars Wood Smuggling: গাছ’ শূন্য’ হচ্ছে অরণ্য

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Sep 15, 2023 | 7:06 PM

Share

বাইরে থেকে গভীর মনে হলো জঙ্গলের ভেতরে তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ। যার কারণে ক্ষুদ্ধ পরিবেশ প্রেমীরা। বিআইনিভাবে গাছ পাচারের কারণে একদিকে যেমন বাস্তু তন্ত্র ক্ষতি হতে হচ্ছে, তেমনি জঙ্গলে তৈরি হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের অভাব নষ্ট হচ্ছে বাসস্থান। তাই লোকালয়ে বাড়ছে বন্যপ্রাণী হামলার ঘটনা

ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাড়ছে কাঠ পাচার,গভীর অরণ্যের বুক শূন্য করে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মূল্যবান গাছ। বাইরে থেকে গভীর মনে হলো জঙ্গলের ভেতরে তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ। যার কারণে ক্ষুদ্ধ পরিবেশ প্রেমীরা। বিআইনিভাবে গাছ পাচারের কারণে একদিকে যেমন বাস্তু তন্ত্র ক্ষতি হতে হচ্ছে, তেমনি জঙ্গলে তৈরি হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের অভাব নষ্ট হচ্ছে বাসস্থান। তাই লোকালয়ে বাড়ছে বন্যপ্রাণী হামলার ঘটনা ।চিন্তিত বনদফতর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফের মরাঘাট জঙ্গলের পাশে গয়েরকাটার টিন লাইন বস্তি তে খাদ্যের লোভে হাতি হামলা চালায়। গুড়িয়া দেয় একটি বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছে সেই পরিবার। জলপাইগুড়ি মরাঘাট রেঞ্জের জঙ্গলে বাড়ছে মূল্যবান কাঠ পাচার। সদ্য এই রেঞ্জের রেঞ্জার এক বিট অফিসার কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্র বলছে জঙ্গলে কাঠ পাচার বাড়ার কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছে আধিকারিককে। রেঞ্জার কে বসিয়েও আটকাতে পারছে না পাচার বন দপ্তর । দেদার চলছে জঙ্গল থেকে লুট। প্রশ্নের মুখে বন দপ্তরের ভূমিকা। কেনো আটকাতে পারছে না কাঠ পাচার ? তাহলে কি শস্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভূত? নাকি বনকর্মীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় নজরদারির অভাব রয়েছে জঙ্গলে? বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনটাই দাবি করছেন পরিবেশ প্রেমীরা। বন সুরক্ষা কমিটি থাকা সত্ত্বেও কি করে চলছে বন নিধন। রেঞ্জার বদল করেও কেনো আটকানো যাচ্ছে না এই পাচার। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গল থেকে কাঠ পাচার রুখতে গুলি চালায় বন দফতর। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয় দুজন।ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, সেই কারণেই গত ২৬ তারিখ সাসপেন্স করা হয়েছে মোরাঘাটের রেঞ্জার রাজকুমার পাল সহ আরো দু -জনকে। এখান থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। যদি কাঠ পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে গুলি চালাতে হয় বনকর্মীদের আত্মরক্ষার স্বার্থে, তার জন্যে যদি হতে হয় সাসপেন্ড !তাহলে জঙ্গল পাহারার কি আদৌ সাহস পাবে বন কর্মীরা। বা আদৌ কি কাঠ পাচার রোখা সম্ভব হবে? তাহলে দেখবে কারা? বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেনো সাসপেন্ড করা হয়েছে রেঞ্জার রাজকুমার পালকে? এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে তিনি কিন্তু কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাহলে কি নির্বাচনের আগে রাজনীতির শিকার রেঞ্জ অফিসার? জঙ্গলের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বন কর্তাদের একাংশ । জঙ্গলে গভীর পরিণত হয়েছে খেলার মাঠে। গায়েব হয়ে গিয়েছে মূল্যবান শাল, সেগুন, চিরুনী মত মূল্যবান গাছ। ভেতরে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে তৃণভোজী প্রাণীদের খাবার। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচাইতে মূল্যবান শাল গাছ পাওয়া যায় মোরাঘাট জঙ্গলে। যার গুণগত মান অনেকটাই ভালো। তাই বরাবর কাঠ মাফিয়াদের নজর এই মোরাঘাট জঙ্গলে। পরিবেশ প্রেমীদের দাবি, শস্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভূত তাই কাঠ চোরেরা ধরা পড়েছে না। সংবাদ সম্প্রচার হলেই শুধু মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান হচ্ছে কাঠ উদ্ধার হচ্ছে কিন্তু চোর ধরা পড়ছে না। অবিলম্বে এই কাঠ চোরদের গ্রেফতার করতে না পারলে মোরাঘাট রেঞ্জ অফিসের সামনে ধর্না দিবেন পরিবেশ প্রেমীরা। যদিও এবিষয়ে মোরাঘাট রেঞ্জের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া রেঞ্জার চন্দন ভট্টাচার্য কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনোই মন্তব্য করতে রাজি হননি ।