Gold In River: নদীতে ভাসছে কিলো কিলো সোনা!

Gold In River: নদীতে ভাসছে কিলো কিলো সোনা!

Nandan Paul |

Jan 11, 2024 | 7:36 PM

Gold In River: নদীতে হলুদ জল। জলের তলায় ভেসে বেড়াচ্ছে প্রচুর সোনার গুঁড়ো। সকাল থেকেই সেই সোনা তুলতে হৈচৈ। মাথায় হাত সরকারের।

সোনা সাধারণত মাটির নীচে থাকে। খনন করে বার করে আনা হয় সেই সোনা। বিশ্বের বহু জায়গায় রয়েছে এরকম সোনার খনি। যাকে আমরা বলি গোল্ডমাইন। কিন্তু নদীর জলে সোনা মেলে , এ কখনও শুনেছেন নাকি! আছে। যা এখন হয়ে উঠেছে সরকারের মাথাব্যাথার কারণ। কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি গ্রামেই এই কাজ চলে। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সিন্ধু নদ। এই গ্রামে তার নাম আবাসিন নদী। এই আবাসিন নদীর অববাহিকাতেই মেলে সোনার গুঁড়ো। প্রতিদিন সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এই নদীতে। অববাহিকা থেকে বালি তুলে,সেই বালি ছেঁচে তার থেকে সোনা আলাদা করে। গত কয়েক বছর ধরে এই কাজে যুক্ত হয়েছে বড় বড় ঠিকাদাররাও। তারা যন্ত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে বালি তুলে সোনা ছেঁচে নেয়। জল থেকে সোনার কণা আলাদা করতে, এই ঠিকাদাররা নদীর পাড়ে বড় বড় শক্তিশালী লোহার চালুনি বসায়। এই চালুনিগুলিতে নদীর বালি, মাটি ও পাথর ঢেলে প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে তা ধোয়া হয়। চালুনিতে বড় বড় পাথর আটকে যায়। নীচে জমা হয় বালির কণা। এরপর আর কয়েক ঘণ্টা চেষ্টায় জলের সাহায্যে বালি থেকে সোনার কণা আলাদা করা হয়। এরপর, সেই সোনা স্থানীয় বাজারে পাঠানো হয়। সেখানে তা গলিয়ে খাঁটি সোনা তৈরি করা হয়। কিন্তু কীভাবে তৈরি হচ্ছে জলে এই সোনা?

বছর কয়েক আগে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এই নিয়ে গবেষণা করেছিল। সিন্ধু নদ এবং কাবুল নদীর পৃষ্ঠে সোনার কণা পাওয়া যায়। গবেষকরা নদীগুলির যত গভীরে গিয়েছেন, ততই সোনার পরিমাণ বেড়েছে। তাঁদের মতে, অনেক ধরনের ধাতু লাভা আকারে পাথরের উপর জমে থাকে। হিমবাহ গলে যাওয়ার সময়, সেই ধাতুগুলি নদীর জলে মিশে যায় এবং প্রবাহিত হয়। যেহেতু সোনার ওজন বেশি, তাই এটি নদীর তলদেশে গিয়ে জমা হয়।

গবেষকদের মতে, যেখানে নদীর জলের দিক পরিবর্তন হয়, যেখানে বাঁধ আছে এবং দুই নদীর সঙ্গমস্থলের মতো জায়গায় জলে সোনার কণা থাকার সম্ভাবনা বেশি হয়। নওশেরায় কাবুল ও সিন্ধু নদীর সঙ্গমস্থল। তাই সেখানে এই ধরনের মূল্যবান ধাতু প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই সম্পদ চলে যাচ্ছে সমাজের দুষ্টু লোকদের দখলে। যা ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সরকারের।